ঋণের নামে প্রতারণা! ভুয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, জালে ১২
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ২০ মে: ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণার ফাঁদ, ভুয়ো কল সেন্টার চালানোর অভিযোগে গ্ৰেফতার দুই মহিলা সহ ১২ জন। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার লেকটাউন এলাকায়। শনিবার তাদের শহরের দায়রা আদালতে হাজির করে বিধাননগর সাইবার শাখা পুলিশ। দুই অভিযুক্ত মহিলা সহ চারজনকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেন তারা।
শুক্রবার রাতে বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লেকটাউনের ১১০ নম্বর ব্লকের একটি বাড়ির তৃতীয় তলায় অভিযান চালায় সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ পুলিশ। ওই ভুয়ো কল সেন্টারটি সেখানেই অবস্থিত। এরপর সেখানে কর্মরত আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ কর্তারা।
সূত্রের খবর, তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পারেন যে, সংস্থাটি পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের অন্যান্য রাজ্যে বসবাসকারী লোকদের ফোন করে বেসরকারি মোবাইল কোম্পানির কর্মচারী হিসাবে পরিচয় দেয়। বাড়ির ছাদে ও জমিতে টাওয়ার বসানো ছাড়াও কোম্পানি থেকে ঋণ নেওয়ার নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিত বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর দুই মহিলা-সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করে সাইবার উইং পুলিশ।
পুলিশ অভিযুক্তদের কাছ থেকে ১৩টি স্মার্টফোন, দুটি অ্যাটেনডেন্ট রেজিস্ট্রার, তিনটি প্যান কার্ড, তিনটি আধার কার্ড, একটি ডঙ্গল, আটটি এটিএম কার্ড, চারটি রাবার স্ট্যাম্প, ১৪টি মোবাইল সিম কার্ড এবং নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। বিধাননগর সাইবার শাখা পুলিশ দুই মহিলা সহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য জানার চেষ্টা করছে যে এই অপরাধীদের পিছনে আর কারা রয়েছে।
অপরদিকে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণপুর থানার উপ-পরিদর্শক সজিব বিশ্বাস ফোর্স নিয়ে থানা নারায়ণপুরের ডোননগরের পিছনের খালি মাঠে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্ৰেফতার করেছে। অভিযুক্তদের নাম- তানভীর আলম (২৩ বছর), রফিকুল ইসলাম (৪১ বছর), আরাফাত মিস্ত্রি (৩২ বছর) ও মাইনুদ্দিন আলী।
অভিযুক্তরা সবাই মোহাম্মদ আলী নারায়ণপুর পশ্চিম বেরবেড়ির বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে কাঠের বাট সহ একটি ভোজলি, একটি টর্চ লাইট, একটি লোহার রড ইত্যাদি উদ্ধার ও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা অন্যদের সাথে থাকার কথা স্বীকার করেছে। ওই ব্যক্তিরা মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে ওই স্থানে জড়ো হয় এবং পাশের এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পুলিশ নারায়ণপুর থানায় ৩৯৯/৪০২ আইপিসি-র অধীনে মামলা দায়ের করেছে।
No comments:
Post a Comment