জ্ঞানবাপী মামলায় মুসলিম পক্ষের ধাক্কা! শ্রিংগার গৌরীর নিয়মিত পূজার দাবীতে চলবে শুনানি
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩১ মে : জ্ঞানভাপি ক্যাম্পাসে অবস্থিত শ্রিংগার গৌরীর নিয়মিত পূজার বিষয়ে মুসলিম পক্ষের আবেদন খারিজ করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। মুসলিম পক্ষের পক্ষ থেকে জেলা জজ আদালতে চলমান শুনানির বিরুদ্ধে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি একটি আবেদন করে। উভয় পক্ষের যুক্তি শোনার পর এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় সংরক্ষণ করে। জেলা জজ আদালতে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য এরই মধ্যে ৭ জুলাই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। হাইকোর্টের রায়কে নিজেদের জন্য বড় জয় বলে বর্ণনা করেছে হিন্দু পক্ষ।
বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির সংলগ্ন জ্ঞানবাপি মসজিদের একটি অংশে শ্রিংগার গৌরীর মন্দির রয়েছে। নবরাত্রির সময় এখানে শুধুমাত্র পূজা পাঠের অনুমতি দেওয়া হয়। এখানে নিয়মিত পূজা করায় হিন্দু পক্ষ জেলা জজ আদালতে মামলা করেছে। মুসলিম পক্ষ এই মামলায় স্থগিতাদেশ চেয়েছিল।
মুসলিম পক্ষের পক্ষে, আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি মামলার রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে একটি আবেদন করেছিল। বলা হয়েছিল যে, উপাসনার স্থান আইন ১৯৯১-এর বিধান অনুসারে, আদালতের মামলাটি শোনার এখতিয়ার নেই।
জেলা জজ আদালত তা খারিজ করে দেন। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন মুসলিম পক্ষ। এখন হাইকোর্টও তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জেলা জজ আদালতে মামলার শুনানি চলবে।
শ্রিংগার গৌরী মামলায়, হিন্দু পক্ষের রাখি সিং এবং বারাণসী আদালতে অন্য ৯ জনের দ্বারা একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এ মামলায় তাদের আপত্তি নাকচের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে মসজিদের আয়োজন কমিটি। আবেদনে ১২ সেপ্টেম্বর বারাণসীর জেলা জজের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা হয়।
এতে ৫ নারীসহ ১০ জনকে পক্ষ করা হয়
আদালতে আবেদনকারী ৫ নারীসহ ১০ জনকে পক্ষ করা হয়। বারাণসীর জেলা বিচারকের আদালত মুসলিম পক্ষের করা আপত্তি খারিজ করে দিয়েছে।
মুসলিম পক্ষ আদালতে যুক্তি দিয়েছিল যে দেওয়ানী মামলাটি ১৯৯১ সালের উপাসনালয় আইন এবং ১৯৯৫ সালের কেন্দ্রীয় ওয়াকফ আইনের অধীনে রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য নয়। জেলা জজের এই সিদ্ধান্তকে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করে মসজিদ কমিটি।
No comments:
Post a Comment