'মায়ের দুধ অপরিহার্য', ১৮ মাসের শিশুর কাস্টাডি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় আদালতের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 15 May 2023

'মায়ের দুধ অপরিহার্য', ১৮ মাসের শিশুর কাস্টাডি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় আদালতের


'মায়ের দুধ অপরিহার্য', ১৮ মাসের শিশুর কাস্টাডি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় আদালতের 



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৫ মে: মহিলাদের অধিকার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে মুম্বইয়ের দায়রা আদালত। ১৮ মাস বয়সী শিশুকে মায়ের কাস্টাডিতে দেওয়ার নিম্ন আদালতের আদেশ বহাল রেখেছেন দায়রা আদালত। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য মায়ের দুধ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দায়রা আদালতের বিচারক শ্রীকান্ত ওয়াই ভোঁসলে এই রায় দিয়েছেন।


আদালত ৩৭ বছর বয়সী বাবার কাছে শিশুটির কাস্টাডি দিতে অস্বীকার করে বলেছে যে, সন্তানের বয়স এক বছর এবং ছয় মাস এবং তাকে বুকের দুধ পান করানো খুব প্রয়োজন। বিচারক শ্রীকান্ত ওয়াই ভোঁসলে বলেছেন যে, শিশুটি গত এক বছর ধরে বাবার রয়েছে এবং মায়ের দুধ পাচ্ছে না, যা তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য, যার কারণে সন্তানের মায়ের কাছে থাকাটাই ঠিক।


তথ্য অনুযায়ী, শিশুটির বাবা-মা ২০২০ সালে অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ করেছিলেন। এর পরে মহিলাটি ২০২২ সালে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে মহিলা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তার অভিযোগ, তার স্বামী ও তার আত্মীয়রা তাকে নির্যাতন করত। তিনি বলেন যে, ২০২২ সালের ৮ মার্চ তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।


ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই মহিলা। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে কথা হলে ওই মহিলা শ্বশুর বাড়িতে ফিরে যান। তবে তাকে আবারও বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর ওই মহিলা তার সন্তানের কাস্টাডির জন্য ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বারস্থ হন। যেখানে ওই মহিলাকে শিশুর কাস্টাডি দেওয়া হয়েছিল। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৩১ মার্চের আদেশে অসন্তুষ্ট হয়ে দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হন শিশুর বাবা।


তিনি দায়রা আদালতে জানান, তার স্ত্রীর আর্থিক স্থিতিশীলতা নেই এবং চাকরি খুঁজছেন। তার আইনজীবী বলেন, "এমন পরিস্থিতিতে স্ত্রীর কাছে সন্তানের কাস্টাডি দেওয়া ঠিক নয়।" আইনজীবী আরও বলেন, "সন্তানের বয়স যখন আট মাস তখন স্ত্রী তার শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে চলে যায় এবং তখন থেকে স্বামী ও তার বাবা-মা শিশুটির যত্ন নিচ্ছেন।" এদিকে স্ত্রী অভিযোগ করেন যে, তাকে হয়রানি করা হয়েছিল। পারিবারিক সহিংসতার শিকার হতে হয়েছিল এবং বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad