"সীমান্তে যেখানে বিএসএফ মোতায়েন রয়েছে সেখানে নিরাপত্তার কোনও চিন্তা নেই" : অমিত শাহ
নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৯ মে, কলকাতা : অমিত শাহ মঙ্গলবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্রাপোলে পুলিশ স্টেশনের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের গেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন যে, "বিএসএফ নদী সীমান্ত পর্যন্ত স্থল সীমান্ত রক্ষা করছে। বিএসএফ ছাড়া সীমান্ত রক্ষা করা যাবে না। সীমান্তে যখন বিএসএফ জওয়ান মোতায়েন থাকে, তখন স্থল সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে দেশের কেউ চিন্তিত থাকে না।"
অমিত শাহ বলেন, "আমাদের সংস্কৃতি, শিল্প ও জীবন বাংলাদেশের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে। একই সংস্কৃতির ভিত্তিতে বসবাসকারী রাষ্ট্র আছে। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।"
তিনি বলেন, " আজও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং উষ্ণ এবং এর ফলে সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।" তিনি আরও বলেন, "আমাদের সীমান্ত নীতিতে বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। আজ সীমান্তের মৌলিক সুযোগ-সুবিধাগুলো গড়ে উঠছে। মানুষে মানুষে যোগাযোগও বাড়ছে।"
তিনি বলেন, "সীমান্ত নিরাপত্তার নীতি পরিষ্কার। সীমান্ত এলাকায় শক্তিশালী অবকাঠামো চাই। গ্রামের সংযোগ সর্বোত্তম হতে হবে। এই দিকে কাজ করুন। সীমা গ্রামের ভিতরে লোকাল ফর ভোকালের বার্তাকে শক্তিশালী করতে চাই এবং মানুষের সাথে মানুষের সংযোগকে শক্তিশালী করতে চাই।"
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্রাপোল পরিদর্শন করেন এবং স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের বিএসএফ-এর বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এরপর সেখানে আয়োজিত প্রদর্শনীও পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, "ল্যান্ডপোর্ট কর্তৃপক্ষও বন্ধুত্বের বার্তা দেয়।"
তিনি বলেন, "আজ কবিগুরুর জন্ম হয়েছে। কবিগুরুই একমাত্র ব্যক্তি যিনি দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত লেখার সৌভাগ্য পেয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতও লিখেছেন।"
তিনি বলেন, "এ স্থলবন্দর দিয়ে ৬০০ থেকে ৭০০ ট্রাক ব্যবসা করে। প্রায়ই ভিড়ের সমস্যা ছিল। দ্বিতীয় কার্গো হয়ে গেলে যানজটের সমস্যার সমাধান হবে। ২০১৬ সালে ১৮০০০ কোটি টাকার ব্যবসা বেড়ে ৩০ হাজার কোটিতে পৌঁছেছে। বছরে ১১ হাজার যাত্রীর চলাচলের সুবিধা করা হয়েছে।"
এর আগে পয়লা বৈশাখে কলকাতায় এসেছিলেন অমিত শাহ। এরপর ২৫শে বৈশাখে রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে কলকাতায় এসেছেন তিনি। এই দুটি দিনই বাংলার মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
No comments:
Post a Comment