সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে পোস্টার!
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৭ মে: সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে পোস্টার, তাও আবার সরকারি দফতরে। বুধবারের এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের। উত্তর ২৪ পরগনার জল সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দফতরের অধীন বারাসত বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকরের বিরুদ্ধে পোস্টার। বারাসত হাতিপুকুর এলাকায় তার অফিসেই পড়ল এই পোস্টার। অভিযোগ, বারাসাত বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকরক মোহাম্মদ রেজাউল হক শেখ তার দফতরের ঠিকাদারদের কাছ থেকে অনৈতিক দাবী করেন।
রাতের অন্ধকারে বহিরাগত ঠিকাদারদের কাছ দিয়ে টাকা নিয়ে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই আধিকারিকের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, ঠিকাদারদের প্রভাবশালী নাম করে ভয় দেখানো হয় এবং প্রতিনিয়ত ঠিকাদারদের সাথে দুর্ব্যবহার করে থাকেন তিনি। এর আগেও ঠিকাদারেরা জেলাশাসকের দফতরে লিখিত আকারে জানিয়েছেন। তারপরও কোন সুরাহা মেলেনি। এরপর এদিন সকালে জল সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দফতর চত্ত্বরে দেখা যায় একাধিক পোস্টার।
এদিনের ঐ পোস্টারে লেখা রয়েছে, 'কথায় কথায় প্রভাবশালীর ভয় দেখানো রেজাউল হকের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও।' ঐ পোস্টারে আরও লেখা হয়েছে, 'রাতের অন্ধকারে অযোগ্য বহিরাগত ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া রেজাউল হকের অপসারণ ও কঠোর শাস্তি চাই।'
এক ঠিকাদার অঞ্জন সাধু বলেন, "এত দুর্নীতিগ্ৰস্ত অফিসার আমাদের এখানে আসেনি। কথায় কথায় উনি প্রভাবশালীদের হুমকি দেয়।' তাঁর অভিযোগ, শাসকদলের বিভিন্ন নেতার নাম করে ভয় দেখানো এবং কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ করেন ওই আধাকারিক। তিনি বলেন, 'আমরা উপরমহলে ওনার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছি। অবিলম্বে ওনার অপসারণ দাবী করছি।'
অপর এক ঠিকাদার অজয় কুমার বোস বলেন, আধিকারিক রেজাউল হক এত দুর্নীতিগ্ৰস্ত, যার জন্য আমাদের এখানে কাজ করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এর প্রতিবাদে আমরা সব জায়গায় চিঠি দিয়েছি, উপরমহলে এমনকি মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি দিয়েছি আমরা। অবিলম্বে ওই আধিকারিকের অপসারণ দাবী করছি আমরা।' তিনি এও জানান, এই সকল পোস্টার তাদের লোকজনই সাঁটিয়েছে।
তবে, এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মোঃ রেজাউল হক শেখের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
No comments:
Post a Comment