গুহায় দিন কাটছে পরিবারের, খবর পেয়েই ছুটলেন প্রধান
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১০ মে: জীবন রক্ষার তাগিদে গুহায় দিন কাটাচ্ছে এক পরিবার। ঘটনা জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের চাপগড়ের।
রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক দলের নেতারা যখন কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে জেলে, ঠিক সেই সময় দেখা গেল করুণ এক চিত্র; বাংলার মানুষ টাকার অভাবে ঘর করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে গুহায় বসবাস করছেন এক বয়ষ্ক ব্যক্তি ও তার পরিবার। সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে এসে ময়নাগুড়িতে একগুচ্ছ কর্মসূচি করে গেছেন। সেই ময়নাগুড়ি ব্লকেই ধরা পড়ল এমন চিত্র।
জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চাপগড়ের বাসিন্দা লক্ষ্মীমোহন রায়ের বাড়ি বলতে একটি কুঁড়ে ঘর, তাও আবার ফুটো, ভাঙাচোরা। বাড়িতে কোনও ইলেকট্রিক নেই, নেই শৌচাগার। বাড়ির কুয়োর অবস্থাও জরাজীর্ণ। কুপির আলো দিয়ে পড়াশুনা এবং দিনযাপন পরিবারের লোকজনের। একটিমাত্র ছোট্ট ঘরেই কোনও রকমে দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের ৫ সদস্য। এক ঘরেই রান্না খাওয়া, থাকা সমস্ত। ঘরের বেহাল দশার কারণে ঝড়-বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে আদিম মানুষের মতো তৈরি করেছেন গুহা। বর্তমান সময়েও এই করুণ দৃশ্য দেখলে আজও শিউরে ওঠে শরীর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আমগুড়ি চাপগড় এলাকার লক্ষ্মীমোহন রায়ের জন্ম থেকেই চাপগড়ে বসবাস। মাঝে কোনও কারণে আলিপুরদুয়ার চলে যান তিনি। সেখানেই বিয়ে করে বেশ কয়েক বছর কাটিয়েছেন। ছোট ছেলেকে জন্ম দেওয়ার পরেই মৃত্যু হয় লক্ষ্মী মোহনের স্ত্রীর। পরে তিন সন্তান ও শাশুড়ি শোভা রায়কে নিয়ে নিজের জন্মস্থান আমগুড়ি এলাকায় বর্তমান রয়েছেন। একজনের রোজগারে মধ্যেই কোনও রকম টিকে আছে সংসারটি।
এই বিষয়টি খোঁজখবর নিতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে স্থানীয় প্রধানের। পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ রায়। প্রধান জানান, পরিবাররের কেউই পঞ্চায়েত প্রধানের সাথে যোগাযোগ করেননি। তাও তারা সরকারি নিয়ম মেনে পরিবারটির পাশে থাকার চেষ্টা করছেন।
No comments:
Post a Comment