স্কুলে দুষ্কৃতী হামলা! গুলিতে মৃত ৭ শিক্ষক
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৪ মে: স্কুলে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য। স্কুলে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালানোর ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৭ শিক্ষকের। ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পারাচিনার এলাকায়। ঘটনাটি ঘটে প্রকাশ্য দিবালোকে। হামলাকারীরা স্কুলে প্রবেশ করে এবং স্টাফ রুমে নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। আধিকারিকরা জানান, দুষ্কৃতীরা অস্ত্রে সজ্জিত ছিল। হামলাকারীদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে, স্কুলে এই গুলি চালানোর ঘটনায় কোন পড়ুয়ার আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
দ্য নিউজ- এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা তহসিলের উচ্চ বিদ্যালয়ের স্টাফ রুমে সাত শিক্ষককে গুলি করে । শিক্ষকরা তাদের পরীক্ষার দায়িত্ব পালনের জন্য ভবনে উপস্থিত ছিলেন। দ্য নিউজ জানিয়েছে যে, পুলিশ খুনিদের খুঁজছে, তবে এখনও তাদের সন্ধান করতে পারেনি।
ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে। হামলার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, পাক-আফগান সীমান্তে এমন ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। সেখানে অপরাধীদের মনোবল তুঙ্গে। এদিনের এই ঘটনায় স্কুল পড়ুয়ারাও শিকার হতে পারত! কিন্তু দুর্বৃত্তরা স্টাফ রুমকেই টার্গেট করায় তারা রক্ষা পায়।
এই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।যেখানে দেখা যায় কত নির্মমভাবে শিক্ষকদের গুলি করা হয়েছে। শিক্ষকদের রক্তমাখা দেহগুলো এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে একের ওপরে। হামলায় গুলিবিদ্ধ প্রায় ৭ শিক্ষক ঘটনাস্থলেই মারা যান। এই হামলাকারীদের কে জিজ্ঞেস করবে এই শিক্ষকদের দোষ কি? তারা তো শিশুদের লেখাপড়া করিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ সোনালী করার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু অপরাধীরা তাদের প্রতি দয়া দেখায়নি। তারা বন্য পশুর মতো তাদের ওপর গুলি চালাতে থাকে।
ঘটনাটি ঘটেছে আফগানিস্তান সংলগ্ন পাকিস্তানের একটি স্কুলে। শিক্ষকরা যখন স্টাফ রুমে বসে ছিলেন তখন দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। পরিকল্পিতভাবে শিক্ষকদের টার্গেট করেছে তারা। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মৃত সাত শিক্ষকের মধ্যে চারজনই শিয়া সম্প্রদায়ের।
এদিন গুলির শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখন পর্যন্ত কোনও সন্ত্রাসী সংগঠন হামলার দায় স্বীকার করেনি। পাকিস্তান পিপলস পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
No comments:
Post a Comment