ইস্তফা প্রত্যাহার করে নিলেন শরদ পাওয়ার!
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৫ মে : এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার দলের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। দলের নেতাদের অনুরোধে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শারদ পাওয়ার তার পদত্যাগ ফিরিয়ে নিয়েছেন বলে জানা গেছে, তবে দলে কিছু পরিবর্তন হবে। মঙ্গলবার তিনি পদ ছাড়ার কথা বলেছিলেন, পরে সব নেতা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। এরপর দুই থেকে তিন দিনের সময় চেয়েছিলেন তিনি। এর পরেই সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন শরদ পাওয়ার। বৃহস্পতিবার একটি সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং এনসিপি-র কোর কমিটি একটি প্রস্তাব পাস করে এবং শরদ পাওয়ারকে সভাপতি হিসাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিল।
পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের তথ্য দিয়ে শরদ পাওয়ার নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, "আমি আপনাদের অনুভূতিকে অসম্মান করতে পারি না।" তিনি বলেন, "আপনাদের ভালোবাসায় পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ করছি। এনসিপি-র সিনিয়র নেতারাও এমন প্রস্তাব পাশ করেছিলেন। তাই আমি এনসিপি সভাপতির পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছি।" মঙ্গলবারই নিজের আত্মজীবনী প্রকাশ উপলক্ষে সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন শরদ পাওয়ার।
পাওয়ার বলেন যে, " এখন নতুন প্রজন্মকে সুযোগ দেওয়া দরকার। আমার ৬ দশকের বেশি কর্মজীবন, এখন আমি চেয়ারম্যান হতে চাই না।" তার ঘোষণা সবাইকে অবাক করে দেয় এবং অনুষ্ঠানের পরপরই সেখানে লোকজন বসে পড়ে। এই সময় রাজ্য সভাপতি জয়ন্ত পাতিল, জিতেন্দ্র আওহাদ, ছগন ভুজবল সহ অনেক নেতা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। জয়ন্ত পাটিল কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, "শুধু আপনার জন্যই আমি নেতা। আপনি সভাপতি না হলে আমরা কী করব।" তার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জিতেন্দ্র আওহাদ জাতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তারা ছাড়াও থানে ইউনিটের অনেক পদাধিকারীও তাদের পদ ছেড়েছেন।
পদত্যাগ প্রত্যাহারের ঘোষণার সময়, অজিত পাওয়ারকেও জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। এই বিষয়ে শারদ পাওয়ার বলেছিলেন যে, " অন্য লোকেরা এখানে রয়েছে। কোর কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপর তাদের অনুভূতির প্রতি সম্মান জানিয়ে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবাই ঐক্যবদ্ধ এবং তারা এ বিষয়ে কথা বলেছে। দলের সিনিয়র নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা কমিটিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
No comments:
Post a Comment