কর্ণাটকের কুর্সিতে সিদ্দারামাইয়া! বৃহস্পতিবারেই নিতে পারেন শপথ
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৭ মে: চারদিনের মন্থন শেষে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করল কংগ্রেস। সিদ্দারামাইয়ার ওপরেই ভরসা রাখল দল। সূত্রের খবর, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে তাঁর নাম অনুমোদন করেছেন। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে সিদ্দারামাইয়া তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডি কে শিবকুমারকে হারিয়েছেন। আগামীকাল অর্থাৎ ১৮ মে তিনি শপথ নিতে পারেন। একই সঙ্গে ডিকে শিবকুমারের সরকারে যোগদান নিয়েও সাসপেন্স রয়েই গেছে।
কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সিদ্দারামাইয়া এবং ডি কে শিবকুমারের মধ্যে কঠিন লড়াই হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়ী হন সিদ্দারামাইয়া। যদিও, এটি এত সহজ ছিল না। দুজনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে নাম চূড়ান্ত করতে কংগ্রেসের চার দিন লেগেছে। তা থেকে অনুমান করা যায় যে, কংগ্রেসে কতটা দোলাচলে ছিল।
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে, কংগ্রেস ১৩৫টি আসন নিয়ে দুর্দান্ত জিত পায়। এর পরে, রবিবার (১৪ মে) বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেস আইনসভা দলের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়েছিল এবং মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের অধিকার কংগ্রেস সভাপতিকে দেওয়া হয়েছিল। এই সময় কংগ্রেসের পর্যবেক্ষকরা বিধায়কদের মতামত জেনেছেন। এর জন্য গোপন ভোটিংও করা হয়। জানা গিয়েছে, সিদ্দারামাইয়া নিজেও গোপন ব্যালট চেয়েছিলেন।
পরের দিন, সোমবার, তিন কংগ্রেস পর্যবেক্ষক দিল্লী পৌঁছে মল্লিকার্জুন খাড়গের সাথে দেখা করেন এবং বিধায়কদের মতামতের কথা জানান। সূত্রের মতে, সিদ্দারামাইয়া আরও বিধায়কের সমর্থন পেয়েছিলেন, যা তাঁর দাবীকে আরও শক্তিশালী করেছিল।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। মঙ্গলবার, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও খাড়গের বাসভবনে পৌঁছান, যেখানে প্রায় দেড় ঘন্টা নাম নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। সূত্রের বিশ্বাস, এই বৈঠকের পরই সিদ্দারামাইয়ার নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার গভীর সন্ধ্যায় মল্লিকার্জুন খাড়গের সাথে দেখা করতে সিদ্দারামাইয়া এবং ডি কে শিবকুমারও পৃথকভাবে পৌঁছেছিলেন। প্রথমে ডি কে শিবকুমার দেখা করতে আসেন এবং চলে যাওয়ার পর সিদ্দারামাইয়া তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। এর পাশাপাশি, বুধবার সিদ্দারামাইয়া রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। এর কিছুক্ষণ পরই তার নাম চূড়ান্ত হওয়ার খবর সামনে আসে।
No comments:
Post a Comment