'দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল'-এর পরিচালককে আইনি নোটিশ
'দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' ছবির ট্রেলার প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে তোলপাড়। ছবির পরিচালককে আইনি নোটিশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। ছবিটির মাধ্যমে বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওয়াসিম রিজভি ফিল্মস প্রেজেন্টস দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রযোজনা করেছেন জিতেন্দ্র নারায়ণ সিং ত্যাগী। ছবির লেখক পরিচালক সনোজ মিশ্র এবং সহ-প্রযোজক তাপস মুখার্জি ও অচিন্ত্য বোস। এই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের কট্টরপন্থী সংগঠন রোহিঙ্গা মুসলমানের ওপর নির্মিত বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, এই ছবির ট্রেলার প্রথম লক্ষ্ণৌতে লঞ্চ করা হয়েছিল। ট্রেলার লঞ্চের সময়, চলচ্চিত্র নির্মাতা জিতেন্দ্র ওরফে ওয়াসিম রিজভি বলেছিলেন যে, গত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। সেখানে বাংলাদেশের কট্টরপন্থী সংগঠন রোহিঙ্গাদের ব্যাপক হারে বসতি স্থাপন করা হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, জিতেন্দ্র বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিযুক্ত করে বলেন, সেখানকার সরকার রোহিঙ্গাদের ভোটব্যাঙ্কে পরিণত করছে। যার অধীনে আধার কার্ড এবং ভোটার তালিকায় এই লোকদের নাম রাখা হচ্ছে। এ কারণেই বাংলাদেশ সংলগ্ন বাংলার সীমান্ত এলাকায় বাড়ছে রোহিঙ্গাদের জনসংখ্যা।
অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই রোহিঙ্গা মুসলমানরা বাংলায় আইডি তৈরি করে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে, যা একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলায় বসবাসকারী হিন্দু পরিবারগুলোকে তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। তাদের ওপর যে অত্যাচার করা হচ্ছে, তা দেখানো হয়েছে এই ছবিতে। বাংলার এই বাস্তবতাকে পর্দায় তুলে ধরা হয়েছে ছবির মাধ্যমে। প্রসঙ্গত, ছবিটি ২০২৩ সালের আগস্টে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ছবিটির ট্রেলার দেখে বোঝা যাচ্ছে, ছবিটি পুরোপুরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে কেন্দ্র করে। ছবির ট্রেলারের শুরুতেই CAA এবং NRC-র কথা বলা হচ্ছে। ছবিতে হিন্দুদের প্রতি অবিচারের গল্প দেখানো হচ্ছে। ছবিতে রোহিঙ্গা ও কট্টরপন্থী সম্প্রদায়ের কথাও বলা হয়েছে।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অন্যায়ভাবে পুনর্বাসনের গল্প দেখানো হয়েছে ছবিতে। এর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। ছবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রকে খলনায়ক হিসেবে দেখানো হয়েছে। ছবির ট্রেলারে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের ওপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্রমাগত অবিচার করছে।
ছবিটির ট্রেলারের শুরুতে একটি ডিসক্লেমার দেওয়া হয়েছে, যেখানে লেখা আছে, 'এই চলচ্চিত্র/ট্রেলারে দেখানো সমস্ত ঘটনা এবং তথ্য সত্য ঘটনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। কোনও জাতি, ধর্ম বা গোষ্ঠীর অনুভূতিতে আঘাত করা সিনেমাটির উদ্দেশ্য নয়। চলচ্চিত্রটির উদ্দেশ্য জনসচেতনতা। কোনও বিশেষ ব্যক্তির অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।'
No comments:
Post a Comment