পার্টিতে ফিরোজ খানকে সজোরে ঘুষি বিনোদ খান্নার, এরপরেই ১১০ কোটির আয় - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday 25 May 2023

পার্টিতে ফিরোজ খানকে সজোরে ঘুষি বিনোদ খান্নার, এরপরেই ১১০ কোটির আয়


পার্টিতে ফিরোজ খানকে সজোরে ঘুষি বিনোদ খান্নার, এরপরেই ১১০ কোটির আয়



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৫ মে: শোলেতে 'জয়-বীরু' জুটিকে নিশ্চয়ই মনে আছে! চলচ্চিত্রে তাদের দুজনের বন্ধুত্বের গল্প আজ পর্যন্ত বিখ্যাত। কিন্তু বলিউডের আসল 'জয়-বীরু' সম্পর্কে জানেন কি? এই জুটি ফিরোজ খান ও বিনোদ খান্নার। ৭০-এর দশকে বড় পর্দায় আধিপত্য বিস্তারকারী ফিরোজ খান এবং বিনোদ খান্নার মধ্যে বন্ধুত্বের কথা হয়তো শুনেছেন, কিন্তু জানেন কী দুজনের মধ্যে হাতাহাতির গল্প, যা একটি পার্টির সময় হয়েছিল এবং তারপরে এমন ঘটনা ঘটেছিল, যা ফিরোজ খান বা বিনোদ খান্না কখনও চিন্তাও করেননি।


ফিরোজ খান এবং বিনোদ খান্না ছিলেন সেই বন্ধু, যারা সবসময় সুখে-দুঃখে পাশে ছিলেন। কিন্তু একবার, মদের নেশায়, ফিরোজ খান এমন একটি কাজ করেছিলেন যা বিনোদের একেবারেই পছন্দ হয়নি এবং এরপরই অভিনেতা তার বন্ধুর মুখে ঘুষি মেরেছিলেন। আর এই ঘুষির পর ফিরোজ খান ১১০ কোটি টাকা লাভ করেন এবং এখান থেকে তাদের দুজনের বন্ধুত্ব আরও গভীর হয়। চলুন জেনে নেই বলিউডের সেই না শোনা গল্প।


বি-টাউনের রাস্তাঘাট যারা খুব কাছ থেকে চেনেন তারা জানেন ফিরোজ খান পার্টি খুব পছন্দ করতেন। প্রায়ই তিনি মানুষের সাথে গেট-টু-গেদার করতেন এবং বাড়িতে জমায়েত করতেন। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী , ফিরোজ খান একবার একটি পার্টি করেছিলেন, যেখানে তিনি বলিউডের অনেক লোককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বিনোদ খান্নাকেও ডেকেছিলেন তিনি।


বন্ধুর পার্টি ছিল এবং সবাই তাদের স্ত্রীদের সাথে পার্টিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন, তাই বিনোদ খান্নাও তার প্রথম স্ত্রী গীতাঞ্জলির সাথে পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। পার্টিতে খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি নাচেরও ব্যবস্থা ছিল। সবাই নাচছিলেন যে যার মত। সেই সময় ফিরোজ খান গীতাঞ্জলির হাত ধরে নাচতে শুরু করেন। যদিও, গীতাঞ্জলি তাকে না করছিলেন এবং নাচতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছিলেন না, কারণ ফিরোজ খান নেশাগ্রস্ত ছিলেন।


বিনোদ খান্না তার স্ত্রী গীতাঞ্জলিকে অস্বস্তিকর অবস্থায় দেখে ফিরোজ খানকে থামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু অভিনেতা শুনতে প্রস্তুত ছিলেন না। এতেই বিনোদ রেগে গিয়ে তাঁর মুখে জোরে একটি ঘুষি মেরে পার্টি ছেড়ে চলে যান।


পার্টির পরের দিনই ফিরোজ খান তার ভুল বুঝতে পেরে বিনোদ খান্না ও তার স্ত্রী গীতাঞ্জলির কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেন, "বহুত জোরদার মুক্কা মারা থা ইয়ার কি পুরা জবদা হিল গয়া'। তবে যা-ই হোক, আমি আমার নায়ককে খুঁজে পেয়েছি।"


ফিরোজ খান ঐ সময় ‘কোরবানি’ ছবিটি তৈরি করছিলেন। এই ছবিতে তার এমনই একজন রাগী যুবকের প্রয়োজন ছিল। তিনি এর আগে এই ছবিতে অমিতাভ বচ্চনকে কাস্ট করেছিলেন, কিন্তু পরে তিনি অমিতাভকে রি-প্লেস করেন, কারণ ছয় মাস ধরে ডেট ছিল না অভিনেতার। তারপর ফিরোজ খান তাঁর বন্ধু বিনোদকে বেছে নেন এবং ছবিটি বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলে।


১৯৮০-র দশকে যখন দেশের রাস্তায় মার্সিডিজ দেখা যায়নি, তখন 'কুরবানি' ছবির একটি অ্যাকশন দৃশ্যে তিনি একটি মার্সিডিজ নষ্ট করেছিলেন। বক্স অফিসে প্রবল অর্থ বৃষ্টি হয়েছিল এই চলচ্চিত্রর কারণে। মুম্বইতেই তিন মাস হাউসফুল চলেছিল ছবিটি। ছবিটি দারুণ লাভ করে এবং এত বেশি আয় করে যে ব্যাঙ্গালোরে ফিরোজ খানের ফার্ম হাউসে নোট গণনা করার জন্য আলাদাভাবে একটি পুরো দলকে মোতায়েন করা হয়েছিল। সেই সময়ে সিনেমাটি আয় করেছিল ১১০ কোটি টাকা।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad