সাঁতার শিখতে এসে অস্বাভাবিক মৃত্যু যুবকের
নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান, ১১ মে: সুইমিং পুলে সাঁতার কাটার সময় মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে, বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান শহরে। মৃত যুবকের নাম কাইম মণ্ডল, বাড়ি রসুলপুর, বয়স ১৯ বছর বলে জানা গেছে। যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য, থানায় অভিযোগ দায়ের।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার দিনও ওই যুবক আসে সাঁতার শিখতে। সকল ৭:১৫ মিনিট থেকে ৮:১৫ মিনিটের ব্যাচে সাঁতার শিখতেন তিনি। একমাস যাবত ভর্তি হয়েছিলেন সাঁতার শিখতে। সুইমিং পুলের জলের হাইট ছিল ৩.৫ থেকে ৪ ফুট। যুবকটি হাইট ছিল ৫.৫ ফুট। ট্রেনারের সামনে সাঁতার শিখছিলেন তিনি। হঠাৎ করে দেখা যায় যুবক জলে ডুবে যাচ্ছিলেন। সাথে সাথে উদ্ধার করে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, কাইম মণ্ডলের এক আত্মীয় বর্ধমান থানায় অভিযোগ করেন সুইমিংপুলের মালিক এবং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অপরদিকে, ঐ সুইমিংপুলের জয়েন্ট সেক্রেটারি সৌগত হালদার বলেন, কাইম মণ্ডল নামে এই ছেলেটি আমাদের এখানে সুইমিং শিখতো। প্রতিদিনের মতো আজও সে সুইমিং শিখতে আসে। গত এক বছর সে আমাদের এখানে সুইমিং শিখছে। সুইমিং শিখতে শিখতে হঠাৎই তার শারীরিক অবনতি হয়, আমরা তখন আর ছুটে যাই এবং তাকে জল থেকে তুলে নিয়ে আসি। জলে ডুবে কিছুতেই মৃত্যু হতে পারে না, কারণ আমাদের এখানে তিন থেকে চার ফুট জলের লেভেল ছেলেটি প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুট লম্বা ছিল। আমরা তৎক্ষণাৎ শারীরিক অবনতি হওয়ায় তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত কাইমের আত্মীয় শেখ জাকির হোসেন বলেন, "আমরা আজ সকালে আটটা নাগাদ খবর পাই যে আমাদের ছেলের শারীরিক অবনতি কি হয়েছে তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের এমারজেন্সি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা যখন বর্ধমান হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছায় তখন সেখানে কেউ ছিল না। ডাক্তাররা বলেন, আমাদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তারপরই আমরা বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।"
No comments:
Post a Comment