কুরতির ভাঙনে আতঙ্ক, ঘুম উড়েছে স্থানীয়দের
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৩০ জুন: একটানা বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে উঠছে তিস্তা-তোর্ষা সহ উত্তরের একাধিক নদী। এরই মাঝে চিন্তার ভাঁজ নদী তীরবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দাদের। মেটেলি ব্লকের আইভিল চা বাগানের ডাঙ্গি ডিভিশনের কুরতি লাইনের কুরতি নদীর ক্রমাগত ভাঙনে আতঙ্কিত ওই এলাকার জনগণ।
ওই এলাকার পাশেই রয়েছে কুরতি নদী। নদী ভাঙন রোধে ওই এলাকায় কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। ইতিমধ্যে ওই এলাকায় নদী ভাঙনে বহু জমি তলিয়ে গেছে। নদীর পাশেই রয়েছে জনবসতি এলাকা। দ্রুত ভাঙন রোধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাসিন্দারা। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে জনবসতিও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৮-১০ বছর আগে ওই এলাকার পাশে সেচ বিভাগের তরফে পাথর ও তারজালির বাঁধ দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে আর ওই বাঁধ নেই। এলাকার বাসিন্দারা জানান, গত ৫ বছর ধরে ওই এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। ভাঙন এখন জনবসতি এলাকার দিকে আসছে। এতো বড়ো ভাবে ভাঙন শুরু হলেও এখনও কোনও সরকারি আধিকারিক দেখতে আসেনি বলেই অভিযোগ। ভাঙন রোধে যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে বহু বাড়ি চলে যাবে নদীগর্ভে। ভাঙন রোধে ওই এলাকায় স্থায়ী বাঁধ তৈরির দাবী জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা অরুণ খাড়িয়া বলেন, "গ্ৰামের খুব কাছেই কুরতি নদী। বর্ষা কালে পাহাড়ের জল নেমে আসে প্রচুর পরিমাণে, এছাড়াও আসে চা বাগানের জল। নদী এতটাই ভরে যায় যে, ঘরে জল ঢুকে যায়।"
তাঁর অভিযোগ, গ্ৰামে কোনও উন্নয়ন নেই। তিনি বলেন, 'সরকার কি করছে জানি না। বিধায়ক, বিডিও সবাই এসে দেখে ফোটো তুলে নিয়ে যায় কিন্তু প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই কাজ হয় না।' তিনি বলেন, 'আমাদের এখানে কোনও উন্নয়ন নেই। কাছেই নদী, বাঁধ দিতে হবে। রাস্তার বেহাল দশা, একটা সাইকেল পর্যন্ত আসে না ঠিকভাবে।'
তবে, সেচ বিভাগের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment