জানুন জারবেরা চাষের পদ্ধতি
রিয়া ঘোষ, ২৪ জুন : বেশি ব্যবহারের কারণে বাজার ও মন্দিরে জারবেরা ফুলের চাহিদা রয়েছে। চাষিরা এর চাষ থেকে ভালো আয় করতে পারে। আসুন জেনে নিন জারবেরা ফুলের চাষ পদ্ধতি।
জলবায়ু -
জারবেরার প্রয়োজন শীতকালে সূর্যের আলো এবং গ্রীষ্মে হালকা ছায়া। অতিরিক্ত শীতের সূর্যালোকে উৎপাদন খুবই কম হয়। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০-২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, রাতের তাপমাত্রা ১২-১৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড ভাল। শুধুমাত্র পলিহাউসেই এর চাষ সফলভাবে করা যায়।
মাটি -
সব ধরনের মাটিতেই জারবেরা চাষ করা যায়। কিন্তু বেলে ভরা মাটি ভালো বলে বিবেচিত হয়। চাষের জন্য মাটির PH মান ৫.০-৭.২ এর মধ্যে হওয়া উচিৎ। জারবেরা চাষের জন্য এই ধরনের মাটি সবচেয়ে ভালো বলে মনে করা হয়।
খামার প্রস্তুতি
ক্ষেত সূক্ষ্ম করার জন্য রোপণের আগে ২-৩ বার লাঙ্গল করুন। তারপর এক মিটার চওড়া এবং ৩০ সেমি উঁচু বেড প্রস্তুত করুন। এবার দুই ভাগে বালি, এক ভাগে নারকেল বা ধানের তুষ এবং এক ভাগে গোবর বা ভার্মিকম্পোস্ট মিশিয়ে বেডে ঢেলে দিন।
বপনের সময় ও পদ্ধতি-
সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর এবং ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত জারবেরা চাষ করা যায়। চারা রোপণের সময় মনে রাখবেন গাছের মুকুট যেন মাটি থেকে ২-৩ সেন্টিমিটার উপরে থাকে। সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩৫-৪০ সেমি এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ২৫-৩০ সেমি হতে হবে। নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে, একটি বেডে দুই সারিতে গাছ লাগানো যেতে পারে।
কৃষিতে সেচ
জারবেরা রোপণের পরপরই সেচ দিন। একমাস একটানা সেচ দিতে হবে যাতে গোড়া ঠিকভাবে বসতি স্থাপন করতে পারে। তারপর ২ দিনে একবার ১৫ মিনিটের জন্য ৪ লিটার / ড্রিপ / গাছের হারে ড্রিপ সেচ প্রয়োগ করুন। গড়ে, একটি জারবেরা গাছের জন্য প্রতিদিন ৭০০ মিলি জল প্রয়োজন।
ফসল কাটা
চারা রোপণের প্রায় ৩ মাস পরে ফুল ফোটা শুরু হয় তবে রোপণের ১২-১৪ সপ্তাহ পরে ফুল তোলা শুরু হয়। একটি ভাল জারবেরা ফুলের ডাঁটার দৈর্ঘ্য ৪৫-৫৫ সেমি এবং ফুলের ব্যাস ১০-১২ সেমি। সকালে বা সন্ধ্যায় ফসল তোলা উচিৎ যাতে ফুলের গুণাগুণ বজায় থাকে। ফুল সংগ্রহের পর একটি বালতি পরিষ্কার জলে রাখা হয়।একটি জারবেরা গাছ বছরে প্রায় ৪৫টি ফুল দেয়।
No comments:
Post a Comment