মদের ঠেকে বিবাদের জেরে বন্ধুকে খুন
নিজস্ব সংবাদদাতা, ২৬ জুন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে আরেকটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এবার খুন হলেন এক প্রতিমা শিল্পী। মৃত শিল্পীর নাম অজয় পাল। মদের ঠেকে বিরোধের জেরে তার বন্ধু রাজু শেখ তাকে গলা কেটে খুন করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে রাজু শেখ পলাতক বলে জানা গেছে। তাকে খুঁজছে বারুইপুর পুলিশ।
জানা যায়, রবিবার গভীর রাতে ভাঙড়ের গড়নবেড়িয়া এলাকায় বন্ধু রাজু শেখের সঙ্গে মদ পান করছিলেন অজয় পাল। এরপর কিছু নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
এর পর রাজু শেখ ধারালো অস্ত্র দিয়ে অজয় পালের গলা কেটে ফেলে বলে অভিযোগ। গলা কাটার পর প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে ঘটনাস্থলেই মারা যান অজয় পাল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে তার আগেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত রাজু শেখ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অজয় ও রাজু একই এলাকার বাসিন্দা। দুজনকে প্রায়ই একসঙ্গে অ্যালকোহল পার্টিতে দেখা যেত। একইভাবে এই দিনে দুই বন্ধু একসঙ্গে মদ্যপান শুরু করেন।
আর সেখানেই ঘটে এই ঘটনা। এ ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভাঙড় থানার পুলিশ। অভিযুক্তর খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি শুরু হয়েছে।
ভাঙড়ে মনোনয়নের সময় তিনজন নিহত হয়েছেন
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই ভাঙড়ে রক্তপাত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে দুই তৃণমূল ও এক আইএসএফ কর্মী। আইএসএফ কর্মীর মৃত্যুর পর তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আরাবুল ও তার ছেলে হাকিমুলসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে খুন মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। নিহত আইএসএফ কর্মীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করেছে।
একই সময়ে, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী তাকে খুন করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের নিরাপত্তার জন্য আটজন সিআরপিএফ জওয়ানকে মোতায়েন করা হয়েছে।
নওশাদ সিদ্দিকী ও তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে
একই সঙ্গে স্থানীয় ISF বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধেও খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। নওসাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মী খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তবে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক মনে করেন, ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা রয়েছে।
এ বিষয়ে আইনি লড়াই চলবে বলেও জানান তিনি। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্রেকিং পয়েন্টে পৌঁছেছে। রুট মার্চ শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই রুটমার্চ মূলত ভোটারদের আশ্বস্ত করতে। তবে কতটা নির্ভীক ও মুক্ত ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন।
No comments:
Post a Comment