'পেছনের দরজা দিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করলে প্রতিরোধ করব', হুঁশিয়ারি বিজেপি সভাপতির
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৪ জুন: 'পুলিশ প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশন যদি নির্বাচন ও গণনার দিন পেছনের দরজা দিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করে, তাহলে আমরা প্রতিরোধ করব', এমনই মন্তব্য করলেন জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামী। জলপাইগুড়ি শহরের দম্পতি আত্মহত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পলাতক সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবীতে শনিবার বাপি গোস্বামীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে এবং স্মরক লিপি দেয়। এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন তিনি।
বিজেপির জেলা সভাপতি বলেন, "জলপাইগুড়ির তৃণমূলের যুবরাজ, উপ-পৌরপিতা সৈকত চট্টোপাধ্যায় জলপাইগুড়ির দু'জন সামাজিক কর্মীকে হত্যা করেন। উনি কোর্টের দরজায় কড়া নেড়েও জামিন পাননি। তার সাথে থাকা আরও অভিযুক্তদের কেউ আত্মসমর্পণ করেছেন, কাউকে পুলিশ গ্ৰেফতার করেছে। এই খুনের মাস্টারমাইন্ড সৈকত চট্টোপাধ্যায়, যার জামিন আদালত নাকোচ করে দিয়েছে, যার জেলের ভাত খাবার কথা তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। আমাদের দাবী, অবিলম্বে জলপাইগুড়ির তোলাবাজ, জমি মাফিয়া সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে গ্ৰেফতার করে কোর্টের নির্দেশ মত তাকে জেলের ভাত খাওয়াতে হবে।"
তিনি বলেন, "পুলিশ এখনও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি, এটা লজ্জার বিষয়। আর বিজেপি কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা হলে কয়েক ভ্যান পুলিশ গিয়ে হাজির হয় তাকে গ্ৰেফতার করতে।"
পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, "পূর্ব অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, তৃণমূল কংগ্রেস ব্যালট লুট করেছে, ইভিএম মেশিন ভেঙে দিয়েছে, মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে দেয়নি এবং গণনায় তৎকালীন কিছু পুলিশ আধিকারিকের মদতে বিজেপির বিজয়ী প্রার্থীদের সার্টিফিকেট ছিঁড়ে দিয়েছে। বিজেপি জয়ী হওয়া সত্ত্বেও তৃণমূলকে জয়ী বলে সার্টিফিকেট প্রদান করেছে। সেটা যেন এবার না হয়।পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতি বুথে এবং গণনায় কেন্দ্রীয় বাহিনী বন্টনের সুব্যবস্থা যাতে হয়, এই দাবী আজ আমরা জানিয়েছি।"
কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, "পুলিশ প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশন যদি তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে, তৃণমূলকে সন্তুষ্ট করার জন্য, নির্বাচন ও গণনার দিন পেছনের দরজা দিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করে, তাহলে সেখানে গন্ডগোল হবে, আমরা প্রতিরোধ করব। তাতে যদি আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়, তার দায় থাকবে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসনের ওপর।"
এর পাশাপাশি বিজেপি সভাপতির দাবী, 'কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় তাহলে নিশ্চয়ই সুষ্ঠু ভোট হবে। আর সুষ্ঠু ভোট হলে তৃণমূল কংগ্রেস জলপাইগুড়িতে শূন্য পাবে।'
No comments:
Post a Comment