'শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ভরসা', নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুললেন‌ রাজীব, বিরোধীদের কটাক্ষ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 23 June 2023

'শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ভরসা', নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুললেন‌ রাজীব, বিরোধীদের কটাক্ষ


 'শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ভরসা', নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুললেন‌ রাজীব, বিরোধীদের কটাক্ষ 




নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৩ জুন: "শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ভরসা", শুক্রবার ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে এসে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। শাসক বিরোধী সব দলই মোটামুটি প্রচারে নেমে পড়েছেন জয়ের লক্ষ্যে। এবারে নদী ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে প্রচার শুরু করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা উত্তরের তিন জেলা; আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। 


এদিন সকালে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রচার কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর ওই এলাকায় ব্যান্ডপার্টি নিয়ে রীতিমতো উৎসবের মেজাজে মিছিল করে প্রচার সারেন প্রাক্তন মন্ত্রী। প্রচারে এসে মানুষের ব্যাপক সাড়া মিলেছে বলে দাবী করেন তৃণমূল নেতা। এদিন গোলাম মুন্সী মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল, এরপর কাজিরহাট চারের হাট হয়ে এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার শেষ হয়। 


গাদং এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের কাজীপাড়া সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা নদী ভাঙ্গন কবলিত। ইতিমধ্যে ওই এলাকায় ২০০ বিঘার উপর চাষের জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। কাজেই তৃণমূলের রাজ্য নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে নদী ভাঙনের বিষয়টি জানান গ্রামবাসীরা। রাজীবও স্বীকার করে নিয়েছেন যে, এই এলাকায় নদী ভাঙ্গন একটি মারাত্মক সমস্যা। খুব দ্রুত এই সমস্যা স্থায়ী সমাধান হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন। পাশাপাশি তৃণমূল নেতার দাবী, রাজ্যজুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখেই মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবে। 


প্রচারের ফাঁকেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মানুষের হৃদয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর মানুষ চোখে-মুখে উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, সবুজ শ্রী ইত্যাদি পাচ্ছেন। সবকিছুতেই উন্নয়ন দেখছেন মানুষ। জন্ম থেকে মৃত্যু মানুষের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ করেছেন।"


তিনি বলেন, "একটা সময় যে উত্তরবঙ্গ অবহেলিত, অনুন্নত ও বঞ্চিত ছিল, সেই জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিগত ১২ বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে মানুষের কাছে পরিষেবা ও উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছেন। মানুষও দেখেছে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ভরসা। আমরা নিশ্চিত এখান থেকে আমরা বোর্ড গঠন করব।"


নদী ভাঙন কবলিত এলাকা সম্পর্কে রাজীব বলেন, "আমি যখন মন্ত্রী হই সেচ দফতরের, সব থেকে বেশি উত্তরবঙ্গের ভাঙন-প্রবণ এলাকায় বারবার ছুটে এসেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় অনেক কাজ হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। আলিপুরদুয়ার, ধূপগুড়ি ও জলপাইগুড়ির বিভিন্ন অংশে এটা খুব চরম সমস্যা। এটা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব সময় ভাবনা-চিন্তা করছেন। আমাকেও গ্রামবাসীরা বলেছেন, আমি প্রচার শেষে এটা উপযুক্ত জায়গায় বলব, যাতে ভাঙন রোধ হয়।"


এই তিন জেলার ফলাফল নিয়েও যথেষ্ট আশাবাদী প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "এই তিন জেলায় বিরোধীরা যতই চেঁচামেচি করুক বা লম্ফঝম্ফ দিক, যেদিন ফলাফল ঘোষণা হবে, তৃণমূল কংগ্রেস নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রত্যেক ক্ষেত্রে তাদের বোর্ড গঠন করবে আর বিরোধীরা ধুলিস্যাৎ হবে।"


এদিন নির্বাচনী প্রচারে হেভিওয়েট এই নেতার সঙ্গে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের একাধিক গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীরা এবং জেলা পরিষদ প্রার্থী দিনেশ মজুমদার ও নুরজাহান বেগম সহ তৃণমূল নেতৃত্বদের পায়ে-পা মেলাতে দেখা যায়। গাদং এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার শেষ করে গাদং দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচারের জন্য বেরিয়ে যান তিনি।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad