'ভেবেচিন্তে কথা বলা উচিৎ', মমতাকে খোঁচা দিলীপের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 30 June 2023

'ভেবেচিন্তে কথা বলা উচিৎ', মমতাকে খোঁচা দিলীপের

 


'ভেবেচিন্তে কথা বলা উচিৎ', মমতাকে খোঁচা দিলীপের 



নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান, ৩০ জুন: 'ইডি-সিবিআই বারবার ডাকলেও যারা যাচ্ছেন না তাদের কপালে কেষ্টর মত অবস্থা হবে', নির্বাচনী প্রচারে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার বৈদ্য পুর মোড়ে বিজেপির পথসভা ও মিছিল। 


মিছিলের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "মনোনয়ন অনেক জায়গায় বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় প্রার্থীদের নাম রেজিস্ট্রির পরেও ওয়েবসাইট থেকে উড়িয়ে দেওয়া হয়, তার জন্য সিবিআই তদন্ত হচ্ছে উলুবেড়িয়াতে। ঠিক সেরকম অনেকের নমিনেশন জোর করে প্রত্যাহার করানো হয়েছে নাহলে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।"


তিনি বলেন, "তৃণমূল বুঝতে পেরেছে জেতার কোনও সুযোগ নেই, ভয় দেখিয়ে হয়নি তাই এখন চালাকি করে বিডিওদের দিয়ে, সরকারি কর্মচারী, ওসিদের দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার চেষ্টা করেছে আর কোনও না কোনও ভাবে হারানোর চেষ্টা করছে। এবারে সাধারণ মানুষ জাগ্ৰত হয়ে লড়াই করছেন, তারাই তৃণমূলকে হারাবেন।"


তাঁর অভিযোগ, বিডিও, ওসি সবাই তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন। তিনি বলেন, "এখন ব্যালট পেপার নিয়ে হচ্ছে; ডবল ডবল ব্যালট পেপার ছাপানো হচ্ছে ওগুলো ঢোকানো হবে বাক্সে। কিন্তু ব্যাপারটা এত সহজে আমরা করতে দেব না। আমরাও সতর্ক আছি।"


সায়নী ঘোষের বিজেপির দুয়ারে বোমা মন্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, "কার দুয়ারে বোমা, সে তো বোঝাই যাচ্ছে। যত বোমা পাওয়া যাচ্ছে তৃণমূল নেতার বাড়িতে, তৃণমূলের প্রধানের বাড়িতে, পার্টি অফিসে। বিজেপির বাড়িতে বোমা পাওয়া যায়নি। এখন সিবিআই ডাকছে, চা খেয়ে আসুন গিয়ে।" পাশাপাশি তাঁর খোঁচা, "ইডি-সিবিআই বারবার ডাকলেও যারা যাচ্ছেন না, তাদের কপালে কেষ্টর মত অবস্থা হবে।"


পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ফলাফল কেমন হতে পারে? এর উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'তৃণমূলকে হারানোর জন্য সবাই লড়ছেন বিজেপি সবচেয়ে ভালো ফল করবে।'


অভিষেক আসবেন বলে স্কুলের মাটি খুঁড়ে হেলিপ্যাড তৈরি হচ্ছে, এই নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "সব জায়গায় করা হচ্ছে। স্কুল ছুটি দিয়ে, কলেজের পরীক্ষা বন্ধ করে পুলিশ রাখা হয়েছিল উনি যখন নবজোয়ারে গিয়েছিলেন বাঁকুড়াতে।"


খোঁচা দিয়ে তিনি আরও বলেন, "যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকাল বিকাল কেন্দ্রীয় বাহিনী আর সেনাকে গালাগালি দেন, হেলিকপ্টার ঝড়ে পড়লে তো সেনার হেলিপ্যাডেই নামতে হয়েছে। সঙ্কটের সময় সেনাই কাজে আসে; প্রাণ বাঁচাতে, দেশ বাঁচাতে। ভেবেচিন্তে কথা বলা উচিৎ।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad