রাতের অন্ধকারে স্কুলে দুষ্কৃতী তাণ্ডব! - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday 29 June 2023

রাতের অন্ধকারে স্কুলে দুষ্কৃতী তাণ্ডব!

 


রাতের অন্ধকারে স্কুলে দুষ্কৃতী তাণ্ডব! 



নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ২৯ জুন: স্কুলে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের অভিযোগ। রাতের অন্ধকারে বামনগাছি অগ্ৰণী স্কুলে তাণ্ডবের ঘটনায় চাঞ্চল্য। ভাঙচুর ও পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর এই স্কুলেই রয়েছে চারটা বুথ কেন্দ্র। ঘটনার প্রতিবাদে সরব বামনগাছি অগ্ৰণী ক্লাবের সদস্যরা। ঘটনায় দত্তপুকুর থানা ও বামনগাছি ফাঁড়িতে অভিযোগ ক্লাবের তরফে। দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানিয়েছেন তারা। ভোটের আগে এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।


ঈশান সাহা, বামনগাছি অগ্ৰণী ক্লাবের সদস্য এই প্রসঙ্গে বলেন, "আমরা অগ্ৰণী বামনগাছির একটা সবচেয়ে পুরনো সংস্থা। আমাদের একটা স্কুল চলে এখানে। বিগত ৫৫-৫৬ বছর ধরে স্কুল চালাই। এলাকার এটা একটা সবচেয়ে পুরনো সম্পদ এবং এলাকাবাসীর সাহায্যে ও ভালোবাসাতেই এই সংগঠনটা চলে আসছে। কিন্তু কাল অজ্ঞাত কোনও কারণে রাত আনুমানিক দেড়টা নাগাদ আমাদের সংগঠনের যে রাস্তা, সেখান দিয়ে ভাংচুর করা হয়। স্কুলের দরজায় ভাংচুর করা হয়, লাথি মারা হয়। টিউবলাইট ভেঙে দেওয়া হয়। আমাদের গার্ডওয়াল ভেঙ্গে ওরা ভেতরে ঢোকে। রেলের কুচিপাথর দিয়ে দরজা-জানলায় আঘাত করা হয়। এই সংগঠনের সঙ্গে বামনগাছির মানুষের ভালোবাসা ছাড়া আর কিছু আছে বলে আমরা মনে করি না।"


তিনি বলেন, "এখানে পঞ্চায়েত ভোটের কেন্দ্র, সরকারি সব কর্মকাণ্ড এই স্কুলেই হয়। আমাদের এই সংগঠন সবসময় সামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। কি করে এই সংগঠনের ওপর আক্রমণ আসতে পারে, তা আমাদের চিন্তার বাইরে। আমরা থানা ও ফাঁড়িতে জানিয়েছি, অফিসাররা এসে দেখেও গেছে। আমরা সবাই আতঙ্কিত। কারণ এত বছরে যা কখনও হয়নি, তা আজ হচ্ছে। একদম বিন্দু বিন্দু থেকে স্কুলটা গড়ে উঠেছে। এখানে পঞ্চায়েতের চারটে বুথ পড়ে, তার ওপর আক্রমণ, আমি মনে করি একটা মানুষের সাংবিধানিক অধিকারের ওপর আঘাত।"


বামনগাছি অগ্ৰণী ক্লাবের সদস্য গৌতম দাস বলেন, আমাদের ক্লাবের অনেক সদস্যই আছেন, আমরা রাজনীতির বাইরে। আমাদের সংগঠনের ভেতরে রাজনীতির কোনও আলোচনা হয় না বা কেউ কারও সঙ্গে কোনও মতবিরোধ হয় না। আমরা সব সময় নিরপেক্ষভাবেই থাকি। ভাঙচুর কেন করা হল সেটাতেই আমরা আশ্চর্য। এটা একটা বুথ কেন্দ্রও। আমাদের ক্লাব ১৯৬৫ সালে স্থাপিত। আমরাই প্রথম শিক্ষা নিয়ে ভেবেছি।"


তিনি বলেন, "পুলিশকে এই ক্লাব সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল হওয়া উচিৎ, এটা একটা পুরনো ক্লাব, কেন এর ওপর আঘাত হানবে? আমাদের এখানে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। ভোটের আগে আমরা চেষ্টা করছি ব্যবস্থা করতে পারি কিনা।"


 ক্লাবের অন্য এক সদস্য প্রীতম রায় বলেন, "পুলিশ প্রশাসনের ওপর আমাদের আস্থা আছে। আমরা এর প্রতিকার চাই এবং শাসক দলের ওপরেও আমাদের আস্থা আছে। কারণ বিরোধী-শাসক কোনও দলই আমরা এই ক্লাবের মধ্যে কেউ করি না। আমরা সবাই একসাথে চলি, ক্লাব সবার। ক্লাবের মধ্যে একটা আক্রমণ হয়েছে, আশা করব শাসক দল আমাদের সাপোর্ট করবে। এখানে আমাদের এখানে ৪০০ বাচ্চা আছে।" 


তিনি বলেন, "আমরা চাই প্রশাসন, শাসক দল, বিরোধী দল সবাই মিলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কে করেছে, এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য কী তাদের ধরবে। এর প্রতিকার যদি না হয়, ভোটের রেজাল্ট আমরাও চাই, আমরা কি করতে পারি সেটা আমরা গোটা ক্লাব মিলে করতে পারি। এটাই আমাদের প্রতিকার আর কিছু না।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad