তৃণমূল-ফরওয়ার্ড ব্লকের মারামারি, ঘটনাস্থলে পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ৩০ জুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস ও ফরওয়ার্ড ব্লকের মধ্যে মারামারি। ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দত্তপুকুর থানার কোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিয়ানই গ্রাম।
শুক্রবার সকালে স্থানীয় ফরোয়ার্ড ব্লক প্রার্থী তোয়েব আলী ও ৯ নম্বর পার্টের তৃণমূল প্রার্থী মাতব্বর গাজীদের মধ্যে মারামারি হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মাতব্বর গাজীর অভিযোগ, তিনি বাড়িতে ছিলেন আচমকা তার ওপরে তোয়েব আলীর ছেলে ও ভাইপোরা দলবল নিয়ে এসে মারধর করে। পাল্টা তৈয়েব আলীর, অভিযোগ মাতব্বর গাজীর লোকজনেরাই সকালবেলা চায়ের দোকানে এসে প্রথমে মারধর করতে শুরু করে। তোয়েব আলীর পোলিং এজেন্ট খোদা বক্সের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয় তাকে মারধর করা হয়। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন, তাদের ছোট জাগুলিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী মহম্মদ তৈয়ব আলীর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার থেকেই তৃণমূলের লোকেরা তাদের উত্যক্ত করছে। গালিগালাজের পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, "আমার এজেন্ট খোদাবক্স মণ্ডলকে মেরেছে। তাঁর ভাই, ভাইয়ের বৌ ও মেয়েকে মেরেছে। তারা এখন হাসপাতালে। এছাড়াও হাসু মণ্ডল হানিফ মণ্ডল, কামাল ও মহম্মদ গাজিকেও মেরেছে।"
তাঁর দাবী, তৃণমূল ভোট লুট এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে বাধা দিতেই এসব করছে। তিনি বলেন, 'প্রাণের আশঙ্কা আছে। আমার বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে; ঘরবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট করে দেব, বোম দিয়ে উড়িয়ে দেব এসব হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
আক্রান্ত কামাল গাজি বলেন, 'তৃণমূল প্রার্থী ইট দিয়ে আমাকে হাতে মেরেছে, আমার আঙুলটা ভেঙে গেছে।'
অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মাতব্বর গাজীর অভিযোগ, দলবল নিয়ে এসে তাঁকে বাঁশ দিয়ে মারধর করেছে তোয়েব আলীর ছেলে ও ভাইপোরা। তিনি বলেন, আমি ঘরে শুয়ে ছিলাম, ওরা প্রায় ৪০-৫০ জন দলবল মিলে ঢোকে। হাতে বাঁশ। এসেই আমাকে হাত ধরে টেনে তুলে বাঁশ দিয়ে মারল।"
তৃণমূল প্রার্থীর কথায়, 'ওরা আগে ফরওয়ার্ড ব্লক করত। আমরা আগাগোড়া কংগ্রেস থেকে তৃণমূল করি। গত পঞ্চায়েতে আমাদের দলে এসেছিল, ওরা ঘরে ঢুকতে পারছিল না। ইছা হক সরদার এবং আমরা গ্ৰামবাসীরা সবাই তোয়েবকে বাড়ি নিয়ে আসি। এরপর পঞ্চায়েতে টিকিট না পেয়ে আবার ফরওয়ার্ড ব্লকে চলে যায় তোয়েব। এবার আমাকে দল টিকিট দিয়েছে। এটাই ওদের আক্রোশ।"
অশান্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দত্তপুকুর থানার পুলিশ। নতুন করে সংঘর্ষ যাতে বাঁধতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখছে পুলিশ। তবে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পর্যন্ত ঘটনায় কোন গ্রেফতার নেই।
No comments:
Post a Comment