স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে সক্ষম রসুনের দুধ
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,১৬জুলাই : পাচনতন্ত্র শুধুমাত্র আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেই প্রভাবিত করে না, মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শরীরের সার্বিক বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এটি । বাজে লাইফস্টাইল এবং ফাস্ট ফুডের কারণে এর খারাপ প্রভাব আমাদের পরিপাকতন্ত্রে দেখা যাচ্ছে। কোষ্ঠকাঠিন্যও হজম ব্যবস্থার দুর্বলতার লক্ষণ।
পরিপাকতন্ত্র ঠিক থাকার জন্য, একটি সক্রিয় এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা থাকা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে পুষ্টিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেক আয়ুর্বেদিক প্রতিকার আছে যা রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে। সম্প্রতি আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রেখা রাধামণি তার সোশ্যাল মিডিয়ায় আয়ুর্বেদ সম্পর্কিত এমন কিছু টিপস শেয়ার করেছেন-
আয়ুর্বেদে রসুনকে কোনো রকম মহৎ ওষুধের চেয়ে কম মনে করা হয় না। ডাঃ রেখা রাধামণির মতে, রসুনের দুধ অ্যাসিডিটি, ফোলা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ব্যথায় উপকারী। তবে তিনি এও বলেছিলেন যে রসুনের দুধ একটি ওষুধ এবং প্রতিদিন খাওয়া উচিৎ নয়। এছাড়াও, এটি সংরক্ষণ করার পরে এটি ব্যবহার করবেন না। এটি হৃদরোগ এবং আর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্যও উপকারী হতে পারে।
রসুনের দুধ প্রস্তুত করার উপায়:
রসুন - ৫গ্রাম
দুধ - ৫০ মিলি
জল - ৫০ মিলি
এটি তৈরি করতে রসুনের পেস্ট, দুধ ও জল তিনটি জিনিস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এগুলি সেদ্ধ করুন যতক্ষণ না এর পরিমাণ ৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। এই দুধের ১০ মিলি পান করতে পারেন।
পাচনতন্ত্রের জন্য উপকারী:
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুনের দুধ প্রায়ই পরিপাক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। আয়ুর্বেদ অনুসারে রসুনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যের কারণে আমাদের পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে। এটি আমাদের পরিপাকতন্ত্রকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন যে পাচক স্বাস্থ্যের উপর রসুনের দুধের প্রভাব পরীক্ষা করে বৈজ্ঞানিক গবেষণা সীমিত এবং এই দাবিগুলিকে বৈধ করার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।
No comments:
Post a Comment