বিদ্যুৎ আবিষ্কারের অজানা ইতিহাস
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ৩১ জুলাই: আজ থেকে ২৬০০ বছর আগে গ্রিকের এক গণিতজ্ঞ মিস্টার থেলিস বিদ্যুতের অস্তিত্ব লক্ষ্য করেন। তিনি দেখেন রেশমের ওপরে বা বিড়ালের পশমের উপরে কোন বস্তুকে কয়েকবার ঘসলে তাতে ছোট ছোট কাগজের টুকরো আটকে যাচ্ছে । কিন্তু তিনি তখন এই ঘটনাকে কালো জাদু বলে মনে করেন তাই তিনি এই বিষয়টি নিয়ে আর গবেষণা করেননি।
তারপর কেটে যায় প্রায় দুই হাজার বছর ।১৬০০ শতকে ইংল্যান্ডের এক ডাক্তার উইলিয়াম গিলবার্ট লক্ষ্য করেন যে শুধুমাত্র রেশম বা বিড়ালের পশম নয় কোনো একটি বস্তুর সঙ্গে অন্য একটি বস্তুকে বারবার ঘষলে তার মধ্যে একটি আকর্ষণের শক্তি চলে আসে। যেমন ধরুন আমরা অনেকেই ছোটবেলায় কলম বা পেনকে মাথার চুলে বারবার ঘষে কাগজের টুকরো গুলোকে আটকাতাম । এই ঘটনাকে দেখে সর্বপ্রথম উইলিয়াম গিলবার্ট এই শক্তির নাম দেন ইলেকট্রিসিটি।
এইভাবে ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে ইলেকট্রিসিটির ধারণা জন্ম নেয়। উইলিয়াম গিলবার্ট তখন একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন। এবং এই যন্ত্রের সাহায্যে বোঝা যেত কোন বস্তুর মধ্যে ইলেকট্রিসিটি আছে ,আর কোন বস্তুর মধ্যে ইলেকট্রিসিটি নেই ।এই যন্ত্রের নাম দিয়েছিলেন ইলেক্ট্রোস্কোপ এবং এটিই ছিল পৃথিবীর আবিষ্কৃত প্রথম যন্ত্র।
উইলিয়াম গিলবার্টের পর বহু বিজ্ঞানী ইলেকট্রিসিটি নিয়ে গবেষণা করলেও কেউই তেমন কোন সফলতা পাননি, ১৮০০ শতকে আমেরিকার একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন তার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে ইলেকট্রিসিটি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন শোনা যায় ১৭৫২ সালের জুন মাসে বেঞ্জামিন একটি বৃষ্টির দিনে আকাশে ঘুড়ি উড়াচ্ছিলেন । এমন সময় বিদ্যুৎ চমকায় তিনি সেই ঘুড়ির সুতোর মধ্যে একটি লোহার চাবি বেঁধে রেখেছিলেন, সেই জন্য আকাশে বিদ্যুৎ চমকানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে ঘুড়ির সুতোর মাধ্যমে লোহার চাবিতে বিদ্যুৎ আসে এবং তারপর বিদ্যুৎ বেঞ্জামিনের হাত পর্যন্ত এসে পৌঁছায়।
আর এই ভাবেই বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন হয়ে যান বিদ্যুৎ আবিষ্কারের আবিষ্কার কর্তা। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বিদ্যুৎ আবিষ্কার করে ফেললেও তার ব্যবহার কি করে করতে হয় তা তখনও আবিষ্কার হয়নি।
No comments:
Post a Comment