ভারতীয় সেনাবাহিনীতে পাক নাগরিক! সিবিআইকে এফআইআর নথিভুক্ত করার নির্দেশ হাইকোর্টের
নিজস্ব প্রতিবেদন, ৩১ জুলাই, কলকাতা : ভারতীয় সেনাবাহিনীতে পাকিস্তানি নাগরিকদের নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে বড় সিদ্ধান্ত এসেছে। সিবিআইয়ের যুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে, কলকাতা হাইকোর্ট পুরো ঘটনার তদন্তের জন্য এফআইআর নথিভুক্ত করার অনুমতি দেয়। ভুয়ো নথির মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে পাকিস্তানি নাগরিকদের চাকরি সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। শুনানির সময় সিবিআইকে এই নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
সোমবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা আদালতকে বলেছে যে ভারতীয় সেনাবাহিনী ভুয়ো নথির মাধ্যমে পাকিস্তানি নাগরিকদের চাকরি দেওয়ার প্রমাণ এখনও পায়নি সিবিআই।
তবে সিবিআই আদালতকে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীতে এই ধরনের কিছু নিয়োগ পাওয়া গেছে। তদন্তকারী সংস্থা আদালতকে বলেছে যে এই ঘটনায় সরকারী আধিকারিকদের, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকদের ভূমিকা আর উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
রাজ্য সরকারও আগের নির্দেশ অনুযায়ী আজ আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে, গত সপ্তাহে বুধবার বিচারপতি সেনগুপ্তের বেঞ্চের সামনে সিবিআই একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে এবং তদন্তের অনুমতি চেয়েছে।
এর আগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সিবিআই-এর পাশাপাশি সিআইডি-কেও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, "দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব সংগঠনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।" এই ঘটনায় পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই জড়িত থাকার সম্ভাবনাও প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি মান্থা।
জয়কান্ত কুমার এবং প্রদ্যুমন কুমার নামে দুই পাকিস্তানি নাগরিক উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের সেনা ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। হুগলির বাসিন্দা বিষ্ণু চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি এই অভিযোগ নিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন।
সরকারি পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয় এবং ভুয়ো কাগজপত্রের মাধ্যমে চাকরি নেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় বিভিন্ন সরকারি আধিকারিক ও প্রভাবশালীদের জড়িত থাকার আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়।
গত সপ্তাহে শুনানির সময় মামলাকারী বিষ্ণু চৌধুরী আদালতে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। তাঁর আইনজীবী আদালতকে জানান, বিষ্ণু নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন।
এই আশঙ্কার পরে, আদালত তাকে হুগলির পুলিশ সুপারের কাছে নিরাপত্তার জন্য আবেদন করার নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে হুগলির পুলিশ সুপারকে দুদিনের মধ্যে আবদানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
No comments:
Post a Comment