গেটের বাইরে দেখতেই আঁতকে উঠলেন মা! বিজেপি প্রার্থীর বাড়ির সামনে সাদা থান-গীতা
নিজস্ব সংবাদদাতা, নদিয়া, ০৭ জুলাই: বিজেপির মণ্ডল সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর বাড়ির সামনে পড়ে রয়েছে সাদা থান কাপড়, সঙ্গে রয়েছে গীতা, মিষ্টি ও ধূপকাঠি, তুলসী গাছ। প্রার্থীর অভিযোগ তার পরিবারকে আতঙ্কিত করতেই শাসকদল এই ঘটনা ঘটিয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন এই ঘটনা ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া এলাকায়।
রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবারের নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই গোটা রাজ্য জুড়ে বিরোধীরা বিভিন্ন সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। কোথাও বিরোধীদের প্রার্থীকে মারধর, বাড়ি ভাঙচুর, আবার কোথাও অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বেরও অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শিবির। এবারে শান্তিপুরের ২৮ নম্বর সমিতির প্রার্থী চঞ্চল চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে সাদা কাপড়ের থান, মিষ্টি, গীতা এবং তুলসী পাতা ফেলে যাওয়ায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়াল।
চঞ্চল চক্রবর্তীর অভিযোগ করে বলেন, শাসক দল বোঝাতে চাইছে আমি খুন হয়ে যেতে পারি। এর আগেও আমাকে একাধিকবার বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করি। আমি এইসব হুমকিতে ভয় পাই না। তবে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে পরিবার কিছুটা হলেও আতঙ্কিত রয়েছে। এই ঘটনার পেছনে পুরোপুরি শাসক দল জড়িত।' পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী চঞ্চল চক্রবর্তীর মা মীরা চক্রবর্তী জানান, 'সকালে এলাকারই কয়েকজন মহিলা চিৎকার চেঁচামেচি করে আমাকে ডাকতে থাকে। আমি গেটের বাইরে গিয়ে দেখি ওইসব জিনিসপত্র পড়ে রয়েছে। যেহেতু আমার ছেলে বিজেপি করে এবং ভোটে দাঁড়িয়েছে সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল। রাত পোহালেই নির্বাচন সেই কারণে আমরা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।'
অন্যদিকে এই ঘটনা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতির তৃণমূল প্রার্থী উৎপল বসাক। তিনি বলেন, 'তৃণমূল কখনও এই শিক্ষা লাভ করেনি। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজনীতি করি। তারা কোনও গন্ডগোল কিংবা ঝামেলায় বিশ্বাসী নন। এই এলাকায় বিজেপি একটা ভোটও পাবে না, সেই বুঝে নিজেরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।
তবে নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটায় রীতিমত চাঞ্চল ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
No comments:
Post a Comment