সন্ত্রাসী সংযোগ ফাঁস! ২০০০ সিম কার্ড-সার্ভার মেশিন সহ গ্রেফতার ২
নিজস্ব সংবাদদাতা, ০১ জুলাই, উত্তর ২৪ পরগনা : পশ্চিমবঙ্গ এসটিএফ অত্যাধুনিক সার্ভার মেশিন, টেলিকম সরঞ্জাম এবং প্রায় ২০০০ সিম কার্ড সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তরা টেলিফোন এক্সচেঞ্জ চালাচ্ছিল এবং এর পেছনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলছিল। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দত্তপুকুর এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে থাকা একটি গ্যাংকে ফাঁস করল STF।
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন অত্যাধুনিক মেশিনের সাহায্যে আন্তর্জাতিক কলকে লোকাল কলে রূপান্তর করত। এই চক্রটি দত্তপুকুর থানার বড় এলাকায় জাল বিস্তার করেছিল।
শুক্রবার এসটিএফ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তদের কাছ থেকে দুই শতাধিক সিম বক্স ও প্রায় দুই হাজার সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। তারা অবৈধভাবে ছোট টেলিফোন এক্সচেঞ্জ গড়ে তুলেছিল। দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসা চালিয়ে আসছিল দুর্বৃত্ত চক্র।
লোকাল কলের হারে আন্তর্জাতিক কল করা হত
এসটিএফ সূত্রে জানা গেছে, এই সিমের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কল লোকাল কলে স্থানান্তর করে কম খরচে কথা বলা যেত। সাধারণ মানুষের সিম ব্যবহার করত গরিব মানুষ যারা কাজের জন্য বিদেশে যেতেন। এসটিএফ জানতে পেরেছিল যে জঙ্গি সংগঠনগুলি যোগাযোগের জন্য ওই দরিদ্র মানুষের সিম ব্যবহার করেছিল।
খবর পেয়ে দত্তপুকুরের মিনি টেলিফোন বুথে হানা দেন এসটিএফ আধিকারিকরা। তবে, তদন্তকারী আধিকারিকরা বিশ্বাস করেন যে এর পিছনে একটি বড় গ্যাং রয়েছে এবং এসটিএফ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল চক্রটিকে ধরতে তদন্ত শুরু করেছে।
আধিকারিকরা জানান, অনেক পরিবারের সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় কাজ করতে বিদেশে যান। তাদের বাড়িতে পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখতে হয়, তবে বিদেশে একটি ছোট ফোন করলেও বিল চলে আসবে। এই চক্রটি আন্তর্জাতিক কলকে স্থানীয় কলে রূপান্তর করত।
আন্তর্জাতিক কলগুলোকে আঞ্চলিক কল হিসেবে স্থানান্তর করে খরচ কমানোর কৌশল এই অভিযুক্তরা ব্যবহার করেছে। কম খরচের কারণে অনেকেই এই ফাঁদে আটকা পড়েন। সেক্ষেত্রে সার্কেল সদস্যরা গ্রাহকদের সিম ব্যবহার করে পুরো কার্যক্রম চালাতেন।
এসটিএফ বলছে, ওই সিমগুলো ব্যবহার করে চরমপন্থী তৎপরতা চলছিল। দত্তপুকুরে অবস্থিত ওই অফিস থেকে প্রায় দুই হাজার সিম কার্ড উদ্ধার করেছে এসটিএফ আধিকারিকরা। এসটিএফ আধিকারিকদের ধারণা, এই কাজের সঙ্গে কোনও বড় কর্তা জড়িত৷
No comments:
Post a Comment