বিজেপি সাংসদের আবাসনে নাবালকের ঝুলন্ত দেহউদ্ধার ! তদন্তে পুলিশ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, 27 August 2023

বিজেপি সাংসদের আবাসনে নাবালকের ঝুলন্ত দেহউদ্ধার ! তদন্তে পুলিশ

 


বিজেপি সাংসদের আবাসনে নাবালকের ঝুলন্ত দেহউদ্ধার ! তদন্তে পুলিশ 



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৭ আগস্ট: আসামের বিজেপি সাংসদ রাজদীপ রায়ের শিলচলের আবাসন থেকে একটি নাবালকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য। শনিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় নাবালকের দেহ উদ্ধার হয়। ছেলেটির বয়স ১০ বছর এবং সে তার মা ও বোনের সাথে সাংসদের বাসায় থাকত। সংবাদ সংস্থা এএনআই এ তথ্য জানিয়েছে।


পুলিশ ছেলেটির দেহ হেফাজতে নিয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য শিলচল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছেলেটির নাম-ও রাজদীপ রায় এবং সে ৫ম শ্রেণিতে পড়ত।

 

ঘটনার বিষয়ে বিজেপি সাংসদ রাজদীপ রায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "যে ঘরে ছেলেটির মৃতদেহ পাওয়া গেছে সেটি ভেতর থেকে তালাবদ্ধ ছিল। বিজেপি সাংসদ বলেন, ১০ বছরের একটি ছেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ। আমার কর্মীরা পুলিশকে খবর দেয়, পরে তারা (পুলিশ) তালা ভেঙে দেহটি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।"



বিজেপি সাংসদ রাজদীপ আরও বলেছেন, "আমি অবিলম্বে এসপি নুমাল মাহাত্তাকে ফোন করেছি এবং পুলিশকে তদন্তের জন্য যথাযথ স্ট্যান্ডার্ড পদ্ধতি (এসওপি) অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছি।" কাছাড় জেলার অতিরিক্ত এসপি সুব্রত সেন ফোনে এএনআইকে জানিয়েছেন যে দেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। আমাদের তদন্ত চলছে।"


হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, বিজেপি সাংসদ বলেন যে, ছেলেটির মা তার মেয়েকে নিয়ে রেশন সামগ্রী সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন এবং তার আগে ছেলেটি একটি মোবাইল ফোন চেয়েছিল, যা মা দিতে অস্বীকার করেছিলেন। প্রায় ৪০ মিনিট পর মা ফিরে এসে দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ।"


তিনি ছেলেটিকে মেধাবী ছাত্র হিসেবে বর্ণনা করে বলেন যে, তিনি তার হাতের লেখা দেখেছেন এবং তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলেছেন। সাংসদ বলেন, "এই মৃত্যু আমার জন্য একটি ব্যক্তিগত ক্ষতি এবং আমার পরিবার শোকাহত।"


হিন্দুস্তান টাইমস ছেলেটির পরিবারের এক সদস্যের বরাত দিয়ে জানিয়েছে যে, তারা কাছাড় জেলার পালং ঘাট এলাকার বাসিন্দা। ছেলেটির মা বিজেপি সাংসদ রাজদীপ রায়ের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন। ওই মহিলা কয়েক বছর আগে ভালো পড়াশোনার জন্য তার দুই সন্তানকে নিয়ে শিলচরে এসেছিলেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad