জুস পান করে নিয়ন্ত্রণে রাখুন কোলেস্টেরল
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ২৯ সেপ্টেম্বর: হার্ট সুস্থ রাখতে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। কিন্তু এর জন্য জানা প্রয়োজন কিভাবে কোলেস্টেরল কমানো যায়। এর অনেক উপায় হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে আপনি খাদ্যে অস্বাস্থ্যকর চর্বির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, ব্যায়াম করতে পারেন, স্থূলতা এড়াতে পারেন এবং ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে পারেন।
আজ আমরা আপনাদের বলবো কোলেস্টেরল কমানোর একটি ভিন্ন উপায়। আপনি যদি অস্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়ার পরে বিশেষ কিছু রস বা জুস পান করেন তবে এটি আপনার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া শরীরের জন্য জুস পানের অনেক উপকারিতাও রয়েছে। চলুন জেনে নেই এই সব রস বা জুস সম্পর্কে।
ডালিমের রস -
অন্যান্য ফলের রসের তুলনায় ডালিমের রসে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যগুলি LDL কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। ডালিমের রস রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করতে পারে। এটি ধমনী থেকে প্লাক কমায় এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের উন্নতি করে। ঘরেও তৈরি করতে পারেন এই জুস। যখনই তৈলাক্ত খাবার খাবেন, তখনই এই রসে কালো লবণ মিশিয়ে পান করুন।
কমলার রস -
কমলার রস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি ফ্যাট মুক্ত এবং সোডিয়াম মুক্ত। এটি ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ যা শরীরের উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এটি ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতেও সহায়ক। এছাড়াও কমলার রস শরীরকে ডিটক্সিফাই করতেও সহায়ক। এটি প্রস্রাবের PH বাড়ায় এবং কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। ব্রেকফাস্টে কমলার রস পান করতে পারেন।
টমেটো জুস -
টমেটো লাইকোপিন নামক যৌগ সমৃদ্ধ, যা লিপিডের মাত্রা উন্নত করতে পারে এবং খারাপ LDL কোলেস্টেরল কমাতে পারে। এর নিয়াসিন উপাদান কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর ফাইবার পাকস্থলীকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং পরিপাকতন্ত্রকে ঠিক করে।
ওটস পানীয় -
ওটসে বিটা-গ্লুকান থাকে, যা অন্ত্রে জেলের মতো পদার্থ তৈরি করে এবং পিত্তের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে কোলেস্টেরলের শোষণ কমায়। ওটস থেকে তৈরি এই পানীয়টি হজম প্রক্রিয়া ঠিক করতেও সহায়ক। কিছু গবেষণা পরামর্শ দেয় যে প্রতিদিন প্রায় ৩ গ্রাম বিটা-গ্লুকান খাওয়া ৭% LDL কমাতে পারে। এর জন্য সকালের খাবারের পর ওটস ড্রিংক পান করতে পারেন। কিছু ওটস সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে এটি পিষে নিন। তারপর এতে গরুর দুধ মিশিয়ে স্মুদি তৈরি করে পান করুন।
কুমড়োর রস -
কুমড়োর রসে বেশ শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যার মধ্যে পলিফেনলিক যৌগ এবং বিটা-ক্যারোটিন থাকে। উভয়ই কোলেস্টেরল জমা এবং ধমনী শক্ত হওয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। আপনি যে কোনও সময় এই পানীয় পান করতে পারেন। এর জন্য কুমড়ো সেদ্ধ করে রস তৈরি করে নিন। তারপর এই রসে লবণ যোগ করে পান করুন।
আপনি এই সমস্ত জিনিস থেকে জুস তৈরি করে যে কোনও সময় পান করতে পারেন। তবে প্রতিদিন মাত্র ১ গ্লাস জুস পান করলেই ভালো হবে। আপনি যখন কিছু তৈলাক্ত খাবার খাবেন তখনও এই জুসটি পান করুন। এগুলো অস্বাস্থ্যকর চর্বি কমাবে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমবে। এভাবে শরীরে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment