সিরিয়ালে আসা নিয়ে বিস্ফোরক বিজয়া মাঠান!
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৭ সেপ্টেম্বর: স্টার জলসার জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল সন্ধ্যাতারা। ধারাবাহিকটি টিআরপি তালিকাতেও বেশ জায়গা করে নিয়েছে। ধারাবাহিকের কাহিনীর জনপ্রিয়তা তাকে এই জায়গায় এনেছে। ধারাবাহিকে যেমন আছে মজার মজার কাহিনী, তেমনই আছে দুঃখে ভরা জীবন। ধারাবাহিকের কাহিনী অনুযায়ী, দেখা যায়, সন্ধ্যাকে মেনে নেয়নি আকাশ। তবে সন্ধ্যার পাশে রয়েছে তার শাশুড়ি বিজয়া মাঠন।
এত পজিটিভ এই চরিত্রটি, যা সকলেই বেশ পছন্দ করেন। অনেকেই জানতে চায় এই চরিত্রের অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে। জেনে নেওয়া যাক সেকথা। বিজয় মাঠান চরিত্রে যাকে দেখা যাচ্ছে তিনি হলেন ঝুলন ভট্টাচার্য। এর আগে তিনি কোনোদিনই ছোটো পর্দায় অভিনয় করেননি, এটাই তাঁর প্রথম ধারাবাহিক। টেলিভিশনে আসার কোনো পরিকল্পনাই ছিল না।
গল্পের লেখিকা সাহানা দত্তের নাম শুনেই ধারাবাহিকে পদার্পণ করেন। শুরুর ধারাবাহিকেই এত জনপ্রিয়তা পেয়ে খুশি অভিনেত্রী। মূর্শিদাবাদের বাসিন্দা, বর্তমানে কলকাতায় একা থাকেন। পরিবার থাকে বহরমপুরে। তাঁর একটি মেয়ে আছে, সে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ে। তাঁর দেওরের একটি মেয়ে আছে। সেটে যখন থাকেন, তখন কিছু মনে হয় না, কিন্তু বাড়িতে ফিরে তখন খুব মিস করেন পরিবারকে।
অভিনয়ে আসা কীভাবে? ছয় বছর থেকে থিয়েটার দিয়ে শুরু হয় অভিনয় যাত্রা। ১৯৯৬-এ গ্রুপ থিয়েটারে যোগ দেন। থিয়েটারই ছিল তাঁর ধ্যান জ্ঞান। এই থিয়েটারে অভিনয় করে তিনি যা সুখ পান, তা আর কোথাও নেই। তবে অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী আছেন, যাদের শুরুটা থিয়েটার দিয়ে হয়েছে, তারপর থেকে এক নাগাড়ে কাজ করে গেছেন ছোটো পর্দায়। তাহলে ঝুলন ভট্টাচার্যের এত দেরি হল কেন? ছোটো পর্দায় আসতে।
তিনি জানান, খুব সত্যি কথা বলতে, আমি কখনোই ক্যামেরার সামনে আসতে চায়নি। মঞ্চটা এমন একটা জায়গা ছিল, ওই কালো কালো মাথা, ওই স্পটলাইট , ওই যে স্টেজ , ওই যে মাদকতা সেটা ছেড়ে আমি আসতে চায়নি। ছোটো থেকে অনেক সুযোগ এসেছিল টেলিভিশনের তিনি পালিয়ে বেড়িয়েছেন। ইগনোর করেছেন। কিন্তু এখন এসে আফসোস হয়, অন্যায় করেছেন বলে মনে হয়। আরও আগে এলে ভালো হত।
তবে শুধু ছোটো পর্দায় নয়, বড়পর্দাতেও রয়েছে তাঁর নামডাক। প্রথম বড়পর্দায় অভিনয় করেছেন বল্লভপুরে রূপকথাতে, এরপর হইচইতে জাতিস্মর ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করেছেন। বল্লভপুরের রূপকথা তে অভিনয় দেখেই পছন্দ হয় সাহানা দত্তের। সেখান থেকেই ঝুলন ভট্টাচার্য সবার কাছে পরিচিতি পান বিজয়া মাঠান রূপে।
No comments:
Post a Comment