ম্যাপ বিতর্কে ভারতের পাশে জাপান, চীনকে কড়া জবাব
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৬ সেপ্টেম্বর: এবার চীনের বিতর্কিত মানচিত্র নিয়ে ভারতকে সমর্থনকারী দেশের তালিকায় যোগ দিল জাপানও। ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের পর এখন জাপানও চীনের মানচিত্রের বিরোধিতা করেছে।
জাপানের মুখ্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো বলেন, "গত মাসে চীন নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে, এতে আমরা তীব্র আপত্তি জানিয়েছি। আমরা চীনকে এই মানচিত্র প্রত্যাহার করতে বলেছি কারণ এই মানচিত্রে চীন জাপানের ওকিনাওয়া প্রদেশের সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জকেও দাবী করেছে। চীন সেনকাকুকে দিয়াওয়ু দ্বীপ বলে বর্ণনা করেছে, যা এই দ্বীপের চীনা নাম।"
মাতসুনো বলেন, "এই দ্বীপটি জাপানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জাপানের জন্য এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। আমরা আমাদের জনগণের জানমালের পাশাপাশি আমাদের ভূমি, আকাশ ও আকাশসীমা রক্ষা করতে প্রস্তুত আছি।"
তবে, জাপানের এই আপত্তি পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং এই দ্বীপ সম্পর্কে জাপানের দাবী অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, "দিয়াওয়ু দ্বীপ এবং এর আশেপাশের দ্বীপগুলো চীনের এখতিয়ারের অংশ। এই জন্য, মানচিত্রে তাদের দেখানোয় কিছু ভুল নেই।"
উল্লেখ্য, এর আগে ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম এবং তাইওয়ানের সরকারও চীনের নতুন মানচিত্রের বিরোধিতা করে ভারতকে সমর্থন করেছিল। চীনের এই পদক্ষেপের তীব্র আপত্তি জানিয়েছে এই দেশগুলো।
চীন এই বছর তার অফিসিয়াল স্ট্যান্ডার্ড মানচিত্র প্রকাশ করেছে, যেখানে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ এবং আকসাই চীনকেও চীনের অংশ হিসাবে দেখানো হয়েছে। নতুন মানচিত্রে, ভারতের কিছু অংশ ছাড়াও, চীন তাইওয়ান এবং বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরকেও তার ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সেখানকার প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রক এই নতুন মানচিত্রটি প্রকাশ করেছে। এরপর থেকে চীনের সম্প্রসারণবাদী পরিকল্পনায় ভারত-সহ অনেক দেশ-ই ক্ষুব্ধ।
তাইওয়ান চীনের নতুন মানচিত্রের তীব্র বিরোধিতা করেছে। চীনের নতুন মানচিত্রে একটি ১০-ড্যাশ লাইন রয়েছে, যা চীনের ১৯৪৮ সালের মানচিত্রের মতো গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে অন্তর্ভুক্ত করে। এ প্রসঙ্গে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেফ লিউ বলেন, "তাইওয়ান মোটেও চীনের অংশ নয়। একইভাবে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনও চীনের এই মানচিত্র প্রত্যাখ্যান করেছে।"
No comments:
Post a Comment