জি-২০ তে চীনকে মাত দেওয়ার প্রস্তুতি ভারতের! ড্রাগনের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 9 September 2023

জি-২০ তে চীনকে মাত দেওয়ার প্রস্তুতি ভারতের! ড্রাগনের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা


জি-২০ তে চীনকে মাত দেওয়ার প্রস্তুতি ভারতের! ড্রাগনের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা 



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৯ সেপ্টেম্বর: আজ থেকে ভারতে শুরু হচ্ছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন।  সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ভারত মণ্ডপে জড়ো হতে শুরু করবেন বিদেশি নেতারা।  ২ দিন ধরে চলা এই সম্মেলনের দিকে সারা বিশ্বের নজর রয়েছে। এর সবচেয়ে বড় কারণ বিশ্বের ২০টি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে। এর পাশাপাশি জি-২০ সম্মেলনে চীনকে হারাতেও প্রস্তুতি নিয়েছে ভারত। ভারত এমন একটি পরিকল্পনা করেছে যা তাকে পররাষ্ট্র নীতির ফ্রন্টে চীনের থেকে একধাপ এগিয়ে রাখবে।


ভারত চায় আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি-২০-তে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। ভারত অনেকদিন ধরেই এ জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে আসছে। এর প্রচেষ্টা এখন ফলাফলে পরিণত হতে চলেছে, কারণ আফ্রিকান ইউনিয়নের জি-২০-তে  যোগদানের পথ পরিষ্কার হতে চলেছে। ভারত 'গ্লোবাল সাউথ'-এর নেতৃত্ব দিতে চায়। চীনেরও একই অভিপ্রায় রয়েছে। এ কারণে দুই দেশই আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। যদিও  সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে দেখা যাচ্ছে যে ভারত বাজি জিতেছে।


ইংরেজি সংবাদপত্র 'দ্য হিন্দু'-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফ্রিকান ইউনিয়ন (AU) জি-২০-তে যোগ দিতে যাচ্ছে।  জি-২০ সম্মেলনের আগে ঘোষণাপত্র নিয়ে কাজ করা সদস্য দেশগুলোর শেরপাদের বৈঠকে সংগঠনটিতে আফ্রিকান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।  তারা এতে সদস্যতা দিতে সহমত হয়েছে। শনিবার বা রবিবার জি-টোয়েন্টি বৈঠকে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আফ্রিকান ইউনিয়ন জি-২০ তে যোগদানের সাথে সাথেই ভারতের জন্য 'গ্লোবাল সাউথ'-এর নেতা হওয়া পাকাপাকি হয়ে যাবে।


আফ্রিকান ইউনিয়ন আফ্রিকার ৫৫টি দেশের একটি সংগঠন। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০২ সালে চালু হয়েছিল। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে কিছুটা সাদৃশ্যপূর্ণ। এর উদ্দেশ্য আফ্রিকান দেশ ও জনগণের মধ্যে ঐক্য বৃদ্ধি করা। আফ্রিকান ইউনিয়ন মহাদেশ জুড়ে শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যও কাজ করে। এই সংস্থার নেতারা সমগ্র মহাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একসাথে কাজ করে। এক লাইনে, এর উদ্দেশ্য নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আফ্রিকা মহাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা।


জাতিসংঘের মতে, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান, এশিয়ার দেশগুলি (ইসরায়েল, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া বাদে) এবং ওশেনিয়া (অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড বাদে) 'গ্লোবাল সাউথ' হিসাবে দেখা হয়। এই অঞ্চলের প্রধান দেশগুলি হল ভারত, চীন এবং ব্রাজিল।  এই কারণেই চীন ও ভারতের মধ্যে 'গ্লোবাল সাউথ'-এর নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে। 'গ্লোবাল সাউথ'-এর নেতৃত্ব দেওয়া মানে বিশ্বের একটি বড় অংশে প্রভাব বিস্তার করা। ভারত অত্যন্ত দক্ষতার সাথে 'গ্লোবাল সাউথ'-এর নেতা হওয়ার দিকে এগিয়ে গেছে।


১৯৫০ সাল থেকে আফ্রিকা মহাদেশে ভারতের উপস্থিতি রয়েছে। গত ৭০ বছর ধরে, ভারত মিশর, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া, কেনিয়ার মতো দেশগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য কাজ করেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে নরেন্দ্র মোদী ধারাবাহিকভাবে আফ্রিকার দেশগুলো সফর করেছেন।  অন্যদিকে চীনের লক্ষ্য হচ্ছে আফ্রিকার দেশগুলোর বিনিয়োগের মাধ্যমে সুবিধা নেওয়া। বেইজিং বলে যে, তারা আফ্রিকান দেশগুলিতে বিনিয়োগ করেছে, তাই এটি তাদের বন্ধু।


তবে ভারত ভালো করেই জানে আফ্রিকায় চীনকে মাত দিতে হলে বড় পরিকল্পনা নিয়ে আসতে হবে। এই কারণেই ভারত জি-টোয়েন্টিতে আফ্রিকান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্তির পক্ষে কথা বলে আসছে। এখন দিল্লীতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে আফ্রিকান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা হতে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে, আফ্রিকান ইউনিয়ন তার হোস্টিং-এর অধীনে জি-২০-এর সদস্যপদ পেয়েছে বলে কৃতিত্ব নেবে ভারত। এভাবে সে তার পরিকল্পনায় চীনকে পরাজিত করেছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad