কলির স্বামী! স্ত্রীর অগ্নিপরীক্ষা নিতে ভয়ঙ্কর কাণ্ড, গো-পনাঙ্গে ফেভিকল-লঙ্কা গুঁড়ো ঢুকিয়ে শাস্তি
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৯ সেপ্টেম্বর: চরিত্র নিয়ে সন্দেহ, স্ত্রীকে নির্মমভাবে নির্যাতনের অভিযোগ গুনধর স্বামীর বিরুদ্ধে। নির্যাতনের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ যে সহ্য করতে না পেরে মাতৃগৃহে চলে যান স্ত্রী। পুরো বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগও করেছেন নির্যাতিতা। পরে পুলিশ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের পালিতে।
অভিযোগে আক্রান্ত জানিয়েছেন, বিয়ের পর স্বামী-সন্তান নিয়ে গুজরাটে বসবাস করছিলেন, কিন্তু কিছুদিন ধরে স্বামীর আচরণ বদলে যায়। তিনি জঘন্য-নির্মম শারীরিক নির্যাতন চালাতেন।
ঘটনাটি পালি জেলার বালির। নির্যাতিতা জানায়, তার স্বামী তার চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করতেন। স্বামীর অভিযোগ, অন্য পুরুষের সঙ্গে তার স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্ক ছিল। এই সন্দেহে তিনি প্রায়ই তাকে মারধর করতেন, শারীরিক নির্যাতনও করতেন।
একদিন বিষয়টি পৌঁছে যায় চরমে; স্ত্রীর চরিত্র পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন স্বামী। তিনি তেল ফুটিয়ে তাতে একটা কয়েন রাখেন এবং এই গরম তেলে হাত ঢুকিয়ে স্ত্রীকে কয়েনটা বের করতে বলেন। আর বলেন, 'সত্যি হলে তোর হাত পুড়ে যাবে না'। স্ত্রী তাতে রাজি না হলে স্বামী তাকে মারধর শুরু করেন। এরপর জোর করে তার হাত ধরে ফুটন্ত তেলে ডুবিয়ে দেন এতে তার হাত পুড়ে যায়।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, নিষ্ঠুর স্বামী স্ত্রীর গোপনাঙ্গও পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এমনক, স্বামী তার গোপনাঙ্গে লঙ্কা গুঁড়ো ও ফেভিকল লাগিয়ে দেন। স্ত্রী যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকলেও স্বামীর মন গলেনি। এমনকি পরিবারের সদস্যরাও সাহায্য করেননি। এত অত্যাচারে বিরক্ত হয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে মায়ের বাড়িতে চলে আসেন নির্যাতিতা। মাতৃগৃহে পরিবারের সদস্যদের সবকিছু জানান। পরে পরিবারের লোকজন থানায় মামলা করেন।
নির্যাতিতা জানায়, বিয়ের পনেরো বছর হয়ে গেছে। তার তিনটি সন্তান রয়েছে। এর পরও তার স্বামী তার চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করেন। এমনকি বাচ্চাদেরও তার কাছে আসতে দেয় না।
বালি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিক্রম সিং সান্দু বলেন, 'নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। এটি যৌতুকের জন্য হয়রানির ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে। দোষীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
No comments:
Post a Comment