টাইগার, সানি লিওন, নেহা কক্কর, ভারতী সিং কেন ইডির রাডারে ১৪ বলিউড তারকা?
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৫ সেপ্টেম্বর : অনলাইন বেটিং অ্যাপের মাধ্যমে জালিয়াতির মামলায় টাইগার শ্রফ, সানি লিওন, নেহা কক্কর, বিশাল দাদলানি, ভারতী সিং, নুসরাত ভরুচা-এর মতো বলিউড তারকারা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) রাডারে রয়েছেন। মহাদেব অ্যাপ-এর সাথে সম্পর্কিত অর্থ পাচারের নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে, ইডি মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল, মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাই এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা সহ মোট ৩৯টি স্থানে অভিযান চালিয়েছিল। এই অভিযানে সোনার কয়েন ও গহনা সহ ৪১৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।
কিন্তু তল্লাশির সময় ইডি আধিকারিকরা প্রচুর নথি এবং প্রমাণ পেয়েছেন। অভিযানের সময় প্রাপ্ত নথিতে ১৪ জন বলিউড তারকার নামও পাওয়া গেছে। এখন ইডি আধিকারিকরা সেই বলিউড তারকাদের উপর নজর রাখছেন এবং অনলাইন বেটিং অ্যাপের মাধ্যমে জালিয়াতির মামলায় বলিউড সেলিব্রিটিদের সাথে সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বিয়ে করেছিলেন মহাদেব বুক অ্যাপের মালিক সৌরভ চন্দ্রকর। এতে বলিউডের গায়ক ও অভিনেতাদের পারফর্ম করার জন্য ডাকা হয়েছিল। ইডি এই ভিডিও পেয়েছে। ইডি আধিকারিকরা বলছেন, হাওয়ালার মাধ্যমে প্রায় ২০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
'মহাদেব বেটিং অ্যাপ'-এর বলিউড কানেকশন প্রকাশিত হয়েছে
চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল ইডি। ‘মহাদেব বেটিং অ্যাপ’ কোম্পানির মালিকের নাম রবি উৎপল, সৌরভ চন্দ্রকর। তাকে খুঁজছে ইডি। এই অনলাইন প্রতারক চক্রের বিষয়ে তদন্ত যেমন এগিয়ে চলেছে। বলিউডের সংযোগ আরও গভীর হচ্ছে।
বলিউডের অনেক শীর্ষস্থানীয় অভিনেতা ও গায়কের নামও প্রকাশ পেয়েছে। ইডি-র দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী এই ষড়যন্ত্রে উঠে এসেছে টাইগার শ্রফ, নেহা কক্কর, সানি লিওন, কৃষ্ণা অভিষেক, রাহাত ফতেহ আলি খান, ভারতী সিং, নুসরাত ভরুচা, আতিফ আসলামের নাম।
ইডি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে তারা শীঘ্রই এই বিষয়টি তদন্ত করবে এবং কীভাবে এই বলিউড তারকারা এই প্রতারণার সাথে যুক্ত ছিল।
ইডি রিপোর্টে দাবী করা হয়েছে, অনলাইন বেটিং অ্যাপের মাধ্যমে বাজার থেকে টাকা তুলে নিয়েছে সংস্থাটি। এর মাধ্যমে অনেক সেলিব্রিটি ও সরকারি আধিকারিকদের কাছে টাকা পৌঁছেছে।
হাওয়ালা ব্যবসার সঙ্গে এই মামলার সংযোগও খতিয়ে দেখছেন ইডি আধিকারিকরা। এই মামলায় যোগেশ পপট নামে এক ব্যক্তির নামও উঠে আসে। তল্লাশির সময়, আধিকারিকরা গোবিন্দ কেদিয়া নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে ১৮ লক্ষ টাকা নগদ এবং ১৩ কোটি টাকার সোনা ও রূপার গয়না উদ্ধার করেছে।
অনলাইন বেটিং অ্যাপগুলি ঠিক অনলাইন গেমিং অ্যাপের মতো। মূলত মধ্যবয়সী থেকে বয়স্ক ব্যক্তিরা বেটিং অ্যাপে বিনিয়োগ করতেন। তাদের টার্গেট করা হয়েছে। কয়েক মাস আগে কলকাতার গার্ডেনরিচে এক ব্যবসায়ীর বাড়ির খাটের নিচ থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়।
এই মামলায় গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার হন ব্যবসায়ী আমির খান। একইভাবে, এটি গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের জন্য লোকেদের প্রলুব্ধ করত, তবে পদ্ধতিটি একই রকম হওয়া সত্ত্বেও, তদন্তকারীরা দুটি সংস্থার মধ্যে কোনও সংযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন।
ইডি আধিকারিকরা বলছেন যে অনলাইন গেমিং সংস্থা ই-নাগেটসের মালিকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে যে পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে তা এই পরিমাণের তুলনায় কিছুই নয়। এ বার ‘মহাদেব অ্যাপ’ নামে একটি অনলাইন বেটিং সংস্থা ইডি-র রাডারে। জানা গেছে, এই সংস্থার সদর দপ্তর দুবাইতে। সেখানে বিভিন্ন ভুয়ো অ্যাকাউন্টে টাকা পাচার করা হয়।
No comments:
Post a Comment