বারাসতে বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ২
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা: বারাসাতের ন-পাড়ায় বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় গ্ৰেফতার দুই। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পুলিশের জালে অভিযুক্তরা। ধৃতদের নাম রাজ চক্রবর্তী ও রথীন পোদ্দার। ধৃতরা ন-পাড়া এলাকারই বাসিন্দ। মঙ্গলবার বারাসতে পুলিশ সুপারের দফতরে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই জানালেন জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, 'খুনের পর ওই দুই অভিযুক্ত রাজারহাটের এক নেশামুক্তি কেন্দ্রে গা ঢাকা দিয়েছিল। খবর পেয়ে সেখান থেকেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগেও ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে ছিল তারা। মাস খানেক আগে সেখান থেকেই বাইরে বেরোয় দুজন। ধৃত দু'জনের বিরুদ্ধে আগে কোনও অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে কিনা তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল (সোমবার) ঘটনা জানাজানি হলেও বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছিল গত পরশুদিন অর্থাৎ রবিবার, প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই উঠে আসছে।
এই বিষয়ে ভাস্কর মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, "স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় বৃদ্ধাকে। খুনে ব্যবহৃত সেই অস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, ঘর থেকে কিছু সোনা এবং ইমিটেশনের গয়না খোয়া গিয়েছে। সেগুলো উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।" এদিকে, ধৃত দুই অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের বারাসত আদালতে পেশ করেছে বারাসত থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, সোমবার বারাসত থানার ন-পাড়া এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে এক বৃদ্ধার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম শর্মিষ্ঠা মুন্সী, বয়স ৬৩। মৃত বৃদ্ধার জামাই জানান, তিনি একাই থাকতেন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় তার সাথে ফোনে যোগাযোগ হতো। প্রতিদিনের মতো সোমবার সন্ধ্যায় তাকে ফোন করলে ফোন সুইচ অফ পাওয়া যায় এবং পরবর্তীতে প্রতিবেশীদের খোঁজখবর নিতে বলা হয়। তখনই দেখা যায় দরজা বন্ধ, সকালের দিয়ে যাওয়া খবরের কাগজও তার বাড়ির বাইরে পড়ে রয়েছে, তা দেখেই সন্দেহ জাগে স্থানীয়দের।
এর পরেই খবর পেয়ে তার মেয়ে ও জামাই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় বারাসত থানার পুলিশকে। পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা একসাথে ঘরে ঢুকলে দেখতে পায়, ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন ওই বৃদ্ধা। ঘরের বিভিন্ন জায়গা লণ্ডভণ্ড অবস্থায় রয়েছে। চুরি করতে এসে খুন বলেই মনে করেন বৃদ্ধার আত্মীয়রা। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে বারাসত হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য।
No comments:
Post a Comment