বয়স কোনও বাধাই নয়, ৪৮ পেরিয়ে স্নাতকোত্তর হলেন এই বলিউড অভিনেত্রী
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৩০ অক্টোবর: জোর করে কিছু হয় না, আর যদি সত্যিই কোন কিছু আপনি মন থেকে করতে চান তাহলে আপনাকে আটকাতে কেউ পারবে না। এই কথাটি যে কতখানি সত্যি তা প্রমাণ করে দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী টুইংকেল খান্না। মা এবং বাবার দেখানো পথে হেঁটেছিলেন তিনি ঠিকই, কিন্তু সবশেষে বেছে নিয়েছেন নিজের প্যাশন। হয়ে উঠেছেন লেখিকা। সদা স্পষ্টবাদী এই অভিনেত্রী তথা লেখিকা সম্প্রতি একটি পুরস্কারে পুরস্কৃত হওয়ার পাশাপাশি পরিচালক করন জোহরকে নিলেন একহাত।
৪৮ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী ১৯৭৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন মুম্বাইতে। রাজেশ খান্না এবং ডিম্পল কাপাডিয়ার বড় মেয়ে টুইংকেল খান্না বলিউডে অভিনয় করা শুরু করলেও সেই ভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। মেলা সিনেমাটি ফ্লপ হবার পর তিনি ২০০১ সালে অক্ষয় কুমারকে বিয়ে করে গৃহিণী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন।
টুইংকেল খান্নার মতই বোন রিঙ্কি খান্নাও অভিনয় জগতে প্রবেশ করলেও সেই ভাবে নিজেকে প্রমাণিত করতে পারেননি। পেয়ার মে কাভি কাভি , মুঝে কুছ কেহেনা হে, চামেলী, জিস দেশ মে গঙ্গা রেহেতি হে সহ বেশ কিছু সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করার পর অবশেষে তিনি চিরকালের মতো অভিনয় জগতকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে রিঙ্কি সমীর সরণকে বিয়ে করে সুখী গৃহিণী হিসেবে জীবন যাপন করছেন।
অভিনয় জগতকে বিদায় দিলেও তিনি একেবারে হাউস ওয়াইফ হিসেবে নিজের জীবন বেছে নেন নি, বরং ফলো করেছেন নিজের প্যাশন। বাস্তব জীবনে তিনি লেখিকা হতে চেয়েছিলেন এবং সেটাই তিনি হয়েছেন অবশেষে। একাধিক বই লিখে লেখিকা হিসেবে সুনাম অর্জন করেছিলেন অভিনেত্রী টুইংকেল। সেই পথেই এবার আরও একটি পালক জুড়লো তাঁর মুকুটে।
সম্প্রতি গোল্ড স্মিথ ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে মাস্টার ডিগ্রী পেলেন টুইংকেল। নিজের ইনস্টাগ্রামে এই খবরটি পোস্ট করে টুইংকেল লেখেন, এটা সত্যি আমার জন্য একটি বড় খবর। প্রথমে খবরটা দিতে একটু লজ্জা লাগছিল কিন্তু এই ঘটনাটি প্রমাণ করে দিল বয়সটা শুধুমাত্র একটি সংখ্যা। আপনি যদি আপনার লক্ষ্যে স্থির থাকেন তাহলে যে কোন বয়সে আপনি আপনার লক্ষ্যভেদ করতে পারবেন।
তবে শুধু ডিগ্রি অর্জন করেই ক্ষান্ত থাকেন নি রাজেশ কন্যা, খবরটি ভাগ করে নেওয়ার পাশাপাশি করন জোহরকে উদ্দেশ্য করে একটু রসিকতার ভঙ্গিতেই তিনি বলেন, আমি এই বিষয়ে বলতে পারি আমার এক বন্ধু স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার ছবিতে ভুল লোককে নিয়েছিল। এই কথাটি কাকে এবং কেন উদ্দেশ্য করে বললেন লেখিকা তথা অভিনেত্রী, তা বোঝা না গেলেও তিনি হয়তো এটা বোঝাতে চেয়েছেন স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার যে কোন সময় যে কোনো মুহূর্তে মানুষ হতে পারে তার জন্য কোন সঠিক বয়সের দরকার হয় না।
No comments:
Post a Comment