জলঙ্গির ধার, কাশবনে ঘেরা! ধুবুলিয়ার দুর্গা মন্দিরে সন্ধ্যারতি করবেন বেনারসের সন্ন্যাসীরা
নদিয়া: নদিয়ার অন্তর্গত ধুবুলিয়ার চৌগাছা হাঁসাডাঙ্গা এলাকায় প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ, সবুজের মাঝে গড়ে ওঠা মা দুর্গা আশ্রমের শান্ত পরিবেশ সাথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে দেশের দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন মন্দির প্রাঙ্গণে।
দুর্গা মন্দিরটি গড়ে উঠেছে জলঙ্গী নদীর একটি বিশাল বিলের পাশের এলাকায়। এছাড়াও মন্দির চত্ত্বরে রয়েছে সুবিশাল রং-বেরঙের বাহারি ফুলের বাগান। একাধিক আম ও পেয়ারার বাগানও আছে। সব মিলিয়ে ছোট-বড় গাছ-গাছালি দিয়ে সাজানো মা দুর্গা আশ্রমের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নান্দনিকতা নজর কাড়ে দর্শনার্থী থেকে শুরু করে আবাল বৃদ্ধ বণিতাদের।
পাশাপাশি দূরদূরান্ত থেকে মন্দির প্রাঙ্গনে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে মন্দিরের এক ধারে রয়েছে নিরামিষ রেস্তোরাঁ, যেখানে সারা বছরই রকমারি নিরামিষ খাবারের সম্ভার লক্ষ্য করা যায়। সব মিলিয়ে ধুবুলিয়ার চৌগাছা হাঁসাডাঙ্গা এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পার্শ্ববর্তী মা দূর্গা আশ্রমে্য এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সময় কাটাতেই সারা বছরই কমবেশি মানুষজন ছুটে আসেন দূর-দূরান্ত থেকে।
বর্তমানে শরতের আগমন জানান দিয়ে যায়, বিল সংলগ্ন এলাকায় গজিয়ে ওঠা ফুরফুরে সাদা মেঘের মতো কাশফুলের বাহার, যা মন্দিরের পরিবেশকে আরও দৃষ্টিনন্দন করে তুলছে। মন্দির প্রাঙ্গনে সারা বছরই মা দুর্গার আরাধনা হয়। তবে দুর্গোৎসবের ক'দিন দেবী দুর্গার মূর্তি মন্দিরের বাইরে নিয়ে এসে পূজা-অর্চনা করেন ভক্তরা। তবে চলতি বছরে দূর্গা পূজার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে সুদূর বেনারস ১০ সদস্যের এক সন্ন্যাসী দল এসে মহা ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত জলঙ্গি নদীর বিলে সন্ধ্যারতী করবেন।
No comments:
Post a Comment