সিয়াচেনে শহীদ দেশের প্রথম অগ্নিবীর, আবেগঘন বার্তা সেনাবাহিনীর - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 22 October 2023

সিয়াচেনে শহীদ দেশের প্রথম অগ্নিবীর, আবেগঘন বার্তা সেনাবাহিনীর


সিয়াচেনে শহীদ দেশের প্রথম অগ্নিবীর, আবেগঘন বার্তা সেনাবাহিনীর 




প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২২ অক্টোবর: লাদাখের সিয়াচেনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অগ্নিবীর  গায়তে অক্ষয় লক্ষ্মণ শহীদ হয়েছেন। তিনিই প্রথম অগ্নিবীর সৈনিক, যিনি দায়িত্ব পালনকালে শহীদ হন। লক্ষ্মণ ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পসের অংশ ছিলেন।


ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পস সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (আগের ট্যুইটার)-এ পোস্ট করে লক্ষ্মণকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। শহীদ সৈনিকের ছবি শেয়ার করে তারা লিখেছে, "বরফে নীরব, যখন বিউগল বাজবে তখন তিনি উঠবে এবং আবার মার্চ করবেন। ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পসের সমস্ত র‌্যাঙ্ক, সিয়াচেনের কঠিন উচ্চতায় কর্তব্যরত অবস্থায় অগ্নিবীর (অপারেটর) গায়তে অক্ষয় লক্ষ্মণের সর্বোচ্চ বলিদানকে প্রণাম করে। সেইসঙ্গেই শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ব্যক্ত করে।"



সংবাদ সংস্থা এএনআইও ট্যুইট করে এই তথ্য জানিয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, তাঁকে বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহে মোতায়েন করা হয়েছিল। সেনা সূত্র জানিয়েছে, আত্মত্যাগী সৈনিকের পার্থিব শরীর রবিবারেই (২২ অক্টোবর) তাঁর বাড়িতে পাঠানো হবে।



সেনা সূত্র বলেছে যে, অক্ষয় লক্ষ্মণ মূলত মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। তিনি লেহে অবস্থিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পসে তাঁর প্রথম পোস্টিং পেয়েছিলেন। ইন্ডিয়ান আর্মি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্লাটফর্ম এক্স-এ লিখেছে, "জেনারেল মনোজ পান্ডে (সিওএএস) এবং সেনাবাহিনীর সমস্ত র‌্যাঙ্ক অগ্নিবীর (অপারেটর) গায়তে অক্ষয় লক্ষ্মণের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। তিনি সিয়াচেনের সর্বোচ্চ উচ্চতায় তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন। ভারতীয় সেনা বলিদান দেওয়া জওয়ানের পরিবারের সাথে এই দুঃখের মুহুর্তে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।"


উল্লেখ্য, সিয়াচেন হিমবাহ ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত, যাকে বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধের শিখর বলা হয়।  এখানে তাপমাত্রা শূন্যের নিচে, যার কারণে এখানে ডিউটি করা সহজ নয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অগ্নিবীর নিয়োগ ২০২২ সালের জুন মাসে শুরু হয়েছিল। এর আওতায় সেনাবাহিনীতে শুধু জওয়ান মোতায়েন করা হবে, আধিকারিক নয়।


প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগে, পূর্ব পাঞ্জাবের মানসার অগ্নিবীর অমৃতপাল সিংয়ের মৃত্যুর পরে, শেষকৃত্যের সময় সেনাবাহিনীর তরফে গার্ড অফ অনার না দেওয়ায় পাঞ্জাবের বিরোধী দলগুলি দুঃখ প্রকাশ করেছিল। যদিও, সেনাবাহিনী একটি বিবৃতি জারি করে বলে, অমৃতপালের মৃত্যু সার্ভিস রাইফেল থেকে লাগা গুলিতে হয়েছে এবং এও বলেছে যে, বিদ্যমান নীতি অনুসারে, গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়নি।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad