ফুড পয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 6 October 2023

ফুড পয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন


ফুড পয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন

প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ৬ অক্টোবর: অনেক সময় অসাবধানতার কারণে খাদ্যে বিষক্রিয়া বা ফুড পয়জনিং-এর সমস্যা দেখা দেয়। যার কারণে শারীরিক দুর্বলতার পাশাপাশি আমরা ক্লান্তি বোধ করতে শুরু করি এবং কিছু খেতে অসুবিধা হয়। চলুন জেনে নেই ফুড পয়জনিং সম্পর্কে ।

খাদ্যে বিষক্রিয়া বা ফুড পয়জনিং -

এটি একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ যা পুরানো, নষ্ট বা দূষিত খাবারের কারণে হয়। যখন ব্যাকটেরিয়া বা এর বিষাক্ত উপাদান আমাদের পাকস্থলীতে গিয়ে অন্ত্রে সংক্রমণ ছড়ায়, তখন খাদ্যে বিষক্রিয়ার সমস্যা হয়।

খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণ -

এর প্রধান কারণ দূষিত খাবার, নোংরা হাতে সবজি কাটা ও রান্না করা। ঢাকনা ছাড়া খাবার খেলেও ফুড পয়জনিং হতে পারে।

লক্ষণ -

বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া এবং ডিহাইড্রেশন।  কিন্তু যখন সাধারণ উপসর্গ ছাড়াও মূর্ছা যাওয়া, অলসতা, নিম্ন রক্তচাপ এবং জলশূন্যতার ফলে প্রস্রাব কমে যায়, তখন অবিলম্বে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।

ব্যাকটেরিয়া -

এই ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস গ্রীষ্মকালে সবচেয়ে সক্রিয় থাকে। এর কারণ পরিবেশে উপস্থিত মাছি ও মশা।

চিকিৎসা -

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, খাদ্যের বিষক্রিয়ার সমস্যা অল্প সময়ের পরে নিজেই সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু কখনও কখনও পরিস্থিতি গুরুতর হতে পারে। যার জন্য ডাক্তার তাৎক্ষণিক উপশমের জন্য ওআরএস (ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন) দেন এবং প্রয়োজনে অ্যান্টি-বায়োটিক দেন।

রক্ষা পেতে যা করবেন -

সবসময় টাটকা এবং গরম খাবার খান। যতটা সম্ভব ঘরে রান্না করা খাবার খান। খাবার তৈরি ও খাওয়ার আগে ও পরে সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে নিন। বাজারের চাট, জুস বা কাটা ফল এড়িয়ে চলুন। ফ্রিজে রাখা খাবার গরম করার পরই খাওয়া উচিৎ।

বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad