নোংরা-আবর্জনায় পূর্ণ! অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের ছবি হাসপাতাল চত্ত্বরে
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ০১ অক্টোবর: নোংরা-আবর্জনায় ভরে উঠেছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগের সামনে রোগীর আত্মীয়দের থাকার জায়গা। সাফাই ঠিকমতন হয় না, এমনই অভিযোগ রোগীর আত্মীয়দের। আর ঠিক মতন সাফাই না হওয়ায় ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, বাড়ছে মশার উপদ্রব। ডেঙ্গু আতঙ্কের মধ্যে রোগীর আত্মীয়দের দিনরাত থাকতে হয়। এমনই এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের ছবি উঠে এল সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। ডেঙ্গু নিয়ে যেখানে জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে ইংরেজবাজার পৌরসভা এত সচেতনতা বার্তা দিচ্ছে, কোথাও শিবির করছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগের সামনে রোগীর আত্মীয়রা বিশ্রাম নেওয়ার জায়গায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, রাতে মশার কামড়ে ঘুম হয় না, অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সাফাই কর্মীদের এখানে পরিষ্কার করতে দেখা যায় না। নেই কোনও ডাস্টবিন, যেখানে নোংরা ফেলার ব্যবস্থা থাকবে। টাকা-পয়সা যাদের আছে, তারা বেসরকারি কোনও হোটেলে বা লজে থাকেন কিন্তু যাদের পয়সা নেই, তাদের এই নোংরা আবর্জনার মধ্যেই দিনরাত কাটাতে হয়।
সমগ্ৰ জেলা জুড়ে ডেঙ্গু সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে, রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যেই রয়েছেন জেলাবাসী, তার মধ্যে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা রোগীর আত্মীয়দের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে থাকতে হয়। এখানকার একটি জলাধারও দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে সেদিকেও কেউ দেখার কেউ নেই, বলেই অভিযোগ।
এই বিষয়ে যদিও মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এমএস ভিপির দায়িত্ব থাকা ডাক্তার বিক্রম কুমার সাহা জানান, হাসপাতালে রীতিমতো প্রতিদিনই সাফাই কর্মীরা পরিষ্কার করে। মাতৃমা বিভাগের সামনে রোগীদের আত্মীয়দের থাকার জায়গাটিও পরিষ্কার করা হয়, তবে রোগীর আত্মীয়রাই আবার সেটা নোংরা করে দেয়।
তিনি বলেন, 'বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখব, যাতে প্রতিদিন সেই জায়গায় পরিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি, যে জলাধারটি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে সেই বিষয়ে আমাদের মিটিং হয়েছে, আমরা চেষ্টা করছি মেডিক্যাল কলেজে যাতে পানীয় জলের সমস্যা না থাকে এবং ডাস্টবিনের ব্যবস্থাও করা হবে যাতে নির্দিষ্ট জায়গায় নোংরাগুলি ফেলা হয়।'
ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী এই বিষয়ে জানান, মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চত্ত্বরে সাফাইয়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ দেখে, রোগী কল্যাণ দফতর দেখে, তবে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ পৌরসভারকে বললে, পৌরসভাও সাফাই করবে।
এ বিষয়ে ইংরেজবাজার পৌরসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপি কাউন্সিলর অম্লান ভাদুড়ি বলেন, 'যেমন আমাদের রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর তেমন মালদা জেলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগী কল্যাণ দফতর। এরা দুজনই অপদার্থ। যেখানে মালদা জেলাতে ডেঙ্গু সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে সেখানেই রোগীরা কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত বা কোনও সমস্যা নিয়ে অসুস্থ হলে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসছে সেই রোগীর আত্মীয়দেরএই নোংরা-আবর্জনার মধ্যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকতে হচ্ছে, রোগী কল্যাণ দফতরের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেইl
No comments:
Post a Comment