'স্পেশাল ২৬'-এর মতো কাণ্ড রাজধানীতে! ইডি অফিসার পরিচয় কয়েক কোটি টাকা লুট
অক্ষয় কুমারের 'স্পেশাল ২৬' ছবিটি দেখেছেন নিশ্চয়ই অনেকেই। এই ছবিতে অক্ষয় কুমার একজন ভুয়ো সিবিআই অফিসারের পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢুকে রীতিমতো লুটপাট করেন। সিনেমার এই ঘটনাই এবারে যেন ঘটল রাজধানীর বুকে। দিল্লীর বাবা হরিদাস নগর এলাকায় চার-পাঁচজন দুষ্কৃতী, ইডি অফিসার পরিচয়ে, এক ব্যাঙ্কারের বাড়িতে প্রবেশ করে এবং হাওয়ালা টাকার সন্ধানের অজুহাতে ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা লুট করে এবং বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
তবে, পর্দায় অপরাধীরা ধরা না পড়লেও বাস্তবে তার উল্টো ঘটনাই ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ তৎপর হয় এবং কিছুক্ষণ পর এক অপরাধীকে গ্রেফতার করে। পুলিশ তার কাছ থেকে ৭০ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে। এখন তার বাকি সহযোগীদের সন্ধান ও গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
দিল্লী পুলিশের মতে, হরিদাস নগরে বসবাসকারী ব্যাঙ্কার গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অফিসার। তিনি সম্প্রতি গালিবপুরে তার প্লট ৪.৭০ কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন। এর মধ্যে প্রায় ১.৫ কোটি টাকা কোথাও বিনিয়োগ করা হলেও তিনি তার বাড়িতে ৩.২০ কোটি টাকা রেখে দিয়েছিলেন। দুষ্কৃতীরা কোনও মাধ্যমে এই খবর পায়। এরপর তারা তাদের দল গঠন করে ভিকটিমকে বাড়ির বাইরে ধরে ফেলে।
পুলিশে দেওয়া অভিযোগে, ভুক্তভোগী বলেছেন যে দুষ্কৃতীরা, ইডি অফিসার হিসাবে পরিচয় দিয়ে তাকে গাড়িতে বসিয়ে মিত্রুন এবং সুরখপুরের মধ্যে দুই ঘন্টা ধরে ঘোরাফেরা করে। এ সময় দুষ্কৃতীরা তার কাছে টাকা কোথায় রাখা হয়েছে তা জিজ্ঞাসা করতে থাকে।
অবশেষে, দুষ্কৃতীরা তাকে নিয়ে তার বাড়িতে এসে পুরো বাড়ি তল্লাশি করে এবং বিছানার ভেতর থেকে ৩.২০ কোটি টাকা লুট করে। ওই ব্যাঙ্কার জানান, দুষ্কৃতীরা চলে যাওয়ার পর সন্দেহ হয় এবং তিনি পুলিশে খবর দেন। এর পরে, পুলিশ সক্রিয় হয় এবং নরেলার কাছে চেক করার সময় একজন অপরাধীকে ধরে ফেলে। ধৃতের নাম অমিত, ২৯ বছর বয়স। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ফৌজি নামে এক যুবক। এই ঘটনার জন্য সে চার-পাঁচজন ছেলেকে ভাড়া করেছিল। ঘটনার পর প্রাপ্ত টাকা সবাই নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। ধৃতর কাছ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাকি টাকা ও অপরাধীদের গ্রেফতারে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment