বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়! পুজোর অন্তিম লগ্নে দুর্যোগের আশঙ্কা
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৩ অক্টোবর, কলকাতা: দুর্গা পুজোর অন্তিম লগ্নে দুর্যোগের ঘনঘটা। বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে আরও গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নবমীর সকালেই তা পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে। এরপর উত্তর-পশ্চিম অভিমুখ ছেড়ে উত্তর-পূর্ব অর্থাৎ বাংলাদেশের দিকে এগোবে।
ক্রমশ বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি এসে ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি হারিয়ে অতি গভীর নিম্নচাপ হয়ে প্রবেশ করবে স্থলভাগে। বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং চট্টগ্রামের মাঝখান দিয়ে এটি স্থলভাগে প্রবেশ করা সম্ভাবনা রয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যের মধ্যে মৎস্যজীবীদের উপকূলে ফিরে আসতে নির্দেশ দিয়েছে হাওয়া অফিস। এছাড়াও মঙ্গলবার ও বুধবার সমুদ্রে যেতে মৎস্যজীবীদের নিষেধাজ্ঞা।
এই গভীর নিম্নচাপটি আপাতত অবস্থান করছে ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৪৪৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বাংলার দীঘা থেকে ৫৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৭৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে। নবমীর দিন থেকেই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব পড়বে বাংলায়।
এদিকে কলকাতায় আজ সকাল পর্যন্ত পরিষ্কার মেঘমুক্ত আকাশ থাকলেও বেলার দিকে আকাশ মেঘলা হবে। নবমীর বিকেলের পর এবং দশমী ও বুধবার কয়েক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতায়। বৃহস্পতিবারেও আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। আজ কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস। কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম মেদিনীপুরে নবমীর দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা এবং দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দশমীর দিনে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
অপরদিকে উত্তরবঙ্গে আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক, সাতদিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। পুজোর দিনগুলোতে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, তবে দশমীতে অর্থাৎ মঙ্গলবারে মালদা এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
No comments:
Post a Comment