৫৩-তে ৫০-এর ছোঁয়া, শ্যামা পুজোয় বিশেষ চমক উত্তরবঙ্গের এই ক্লাবে
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ০৪ নভেম্বর: দিন কয়েক পরেই দিপাবলী, কালী মায়ের আরাধনায় মেতে উঠবেন সকলেই। পুজো ঘিরে প্রস্তুতি এখন চলছে জোরকদমে। দক্ষিণের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও শ্যামা পুজো ঘিরে সাজো সাজো রব। ক্লাবগুলোতে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। আর উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলোর মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির এসটিএস ক্লাব একটি সুনামধন্য নাম। ১৯৭১ সালে শুরু হয় এই ক্লাবের পথ চলা। আর এরপর থেকেই বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে এই ক্লাব শুধু জেলা নয় গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে সুনামের সঙ্গে খ্যাতি অর্জন করে আসছে। বিশেষ করে কালী পূজার জন্য এক ডাকে পরিচিতি এই ক্লাব। প্রত্যেক বছর শারদীয়া দুর্গোৎসবের প্রস্তুতিতে যখন আর পাঁচটি ক্লাব মেতে ওঠে, তার বহু আগে থেকেই কালী পূজার প্রস্তুতিতে মেতে ওঠে এই এসটিএস ক্লাব।
এবারে ৫৩ বছরে পা দিল এই ক্লাবের শ্যামা পুজো। কিন্তু গত তিন বছর করোনা মহামারীর কারণে, ধূপগুড়ির এসটিএস আড়ম্বরের কোনও কিছু করতে পারেনি। তাই এবারে তারা পঞ্চাশের ছোঁয়া দিতে চলেছে ৫৩ তে।
ধূপগুড়ি শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত এই ক্লাব সুবিশাল পুজো প্যান্ডেল বরাবর মানুষের মন কাড়ে। গভীর আগ্রহে মানুষ থাকে এই ক্লাবের চমক দেখার অপেক্ষায়। এবারে তাদের ভাবনায় সিকিমের চারধাম মন্দির। মহালয়ার বহু আগে থেকেই সুদীর্ঘ সুবিশাল একটি মাঠে বাঁশের কাঠামো তৈরি করে তার ওপরে প্লাইবোর্ড ও তার ওপরে থার্মোকল ও প্লাস্টিকের সরঞ্জাম দিয়ে গোটা মন্দির চত্বর কারুকার্য করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ক্লাবের তরফে, এবারের ভাবনা প্রকাশ করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই বহু চর্চিত এসটিএস ক্লাব। ফাইবারের মুক্ত ও পুথি দিয়ে মায়ের সাবেকিয়ানা সাজ এবং আলোকসজ্জা করা হবে।
শুধু পুজো মণ্ডপ ও প্রতিমাতে জাঁকজমক নয়। এই ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ধূপগুড়িতে সাতদিনব্যাপী আনন্দ মেলা। পাশাপাশি পুজোকে ঘিরেই ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় অর্জুন পত্রিকার শুভ সূচনা। আগামী ১০ই নভেম্বর কলকাতার বিশিষ্ট চলচ্চিত্র শিল্পীদের নিয়ে এবারের পূজোমণ্ডপের শুভ উদ্বোধন হতে চলেছে। মানুষের ঢল জমায়েত এড়াতে ক্লাবের নিজস্ব সিকিউরিটি ব্যবস্থা বাদেও জেলা পুলিশের তরফে এ ক্লাবের মোতায়েন রাখা হয় প্রচুর ফোর্স।
No comments:
Post a Comment