টিনেজারদের ত্বকের যত্নের টিপস
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,০৯নভেম্বর: টিনেজারদের ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার হয়। কিন্তু অনেক কিশোরীরাই জানেন না কিভাবে তা করা যায়। মূলত নিজের ত্বকের ধরন সম্পর্কে তাদের ভালো কোনো ধারণা না থাকায় এমন সমস্যা হয়। ফলে ভুলভাল পণ্য ব্যবহার করে ত্বকের ক্ষতি করে বসে যায়।
এই সমস্যা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় নিজের ত্বক সম্পর্কে জানা। সেইসঙ্গে বিভিন্ন ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ত্বকের পরিচর্যায় বিষয়েও জানা প্রয়োজন।
তৈলাক্ত ত্বক:
ত্বক উজ্জ্বল হলে, রোমকূপগুলো স্পষ্টভাবে দেখা গেলে, এবং প্রায়শই ব্ল্যাকহ্যাড কিংবা পিম্পল দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনার ত্বক তৈলাক্ত। তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় প্রতিদিন দুবার অথবা অন্তত একবার হলেও সাধারণ সাবান এবং জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
তেল সরাবার ক্ষেত্রে ক্লিনজিং প্যাড ব্যবহার করা উচিৎ। একনে কিংবা পিম্পল হলে কখনো টিপে গেলে ফেলবেন না। তাতে বরং ছড়ানোর সম্ভাবনা বাড়ে। প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সাবধান থাকবেন।
কম্বিনেশন স্কিন:
অনেকের ত্বক শুষ্ক এবং তেলতেলে দু ধরণেরই বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। এ ধরণের ত্বক হয় খুব তেলতেলে বা শুষ্ক হয়ে থাকে। মূলত দিনে দুই থেকে তিনবার হালকা সাবান জল দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
সাধারণ ত্বক:
সাধারণ ত্বক সচরাচর মসৃণ এবং সমান হয়ে থাকে। স্মুথ স্কিন টোন যাকে বলে। ত্বকের রোমকূপগুলো এ ধরণের ত্বকে দেখা যায় না। সাধারণ ত্বকে লালচে ভাব কিংবা কোনো ধরণের কালো দাগ দেখা যায়না। বিশেষত এ ধরণের ত্বক একদম শুষ্ক কিংবা তেলতেলেও বলা চলে না। এই ধরণের ত্বকের পরিচর্যার জন্যে মাইল্ড ফেসওয়াশ কিংবা সাধারণ কোনো সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন।
শুষ্ক ত্বক:
শুষ্ক ত্বক সচরাচর রুক্ষ, খরখরে এবং নিষ্প্রভ হয়ে থাকে। শুষ্ক ত্বকের রোমকূপ প্রায় দেখাই যায় না। এ ধরণের ত্বকে প্রায়ই চুলকানি হয়৷ এই ধরণের ত্বকের পরিচর্যার জন্যে মাইল্ড ফেস-ওয়াশ ব্যবহার করা উচিৎ৷ প্রতিদিন ত্বক পরিষ্কার করা জরুরি৷ পারফিউম মুক্ত কিংবা এলকোহল মুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে৷ পারতপক্ষে গরম জলে স্নান করা এড়াবেন। তবে প্রচণ্ড গরম কিংবা শীতে কুসুম গরম জলে দিয়ে মুখ ধুলে আরাম পাওয়া যায়৷ মূলত ময়েশ্চারাইজার লক করে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিৎ।
No comments:
Post a Comment