অঙ্কে ভয়! মুশকিল আসান হয়ে হাজির অঙ্কের দাদু
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ১৩ জানুয়ারি: অঙ্ক নিয়ে খুব ভয়! সহজে বুঝতে পারছেন না কিভাবে অঙ্কের সমাধান হবে। বইয়ের ভাষা খুব জটিল? বিভিন্ন লেখক লেখিকাদের বই বোধগম্য হচ্ছে না। এই সমস্ত কিছুর সমাধান করতে এগিয়ে এসেছেন অঙ্কের দাদু। ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে সহজ-সরল ভাষায় অঙ্কের বই লিখে চলেছেন তিনি। তাঁর লেখা বই এখন বিভিন্ন প্রান্তের ছাত্রছাত্রীদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ বইয়ের সরলতা। আর এই কারণেই এখন অঙ্কের জগতে 'দাদু' নামে পরিচিত বালুরঘাটের প্রাক্তন অঙ্কের শিক্ষক মিহির সমাজদার।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি বই লিখে চলেছেন। শিশু শ্রেণী থেকে বিএসসি পর্যন্ত তিনি অঙ্কের বই লিখেছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার জন্য সিলেবাস মেনেই তিনি বই লিখেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৫ টি বই লিখেছেন তিনি। সবগুলি অঙ্কের বই। তবে মিহির বাবুর লেখা বই আপনি কোনও দোকানে কিনতে পাবেন না। শুধুমাত্র পাবেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠিত বই মেলাতেই। মালদা জেলা ৩৫ তম বই মেলাতেও অংকের দাদু স্টল খুলে বসেছেন।
এই স্টলে ছাত্র-ছাত্রীদের ভিড় লক্ষণীয়। মালদা জেলা বই মেলাতে আসলে দাদুর কথা জিজ্ঞেস করলে আট থেকে আসি সকলে বলে দিচ্ছেন দাদুর স্টল সোজা গিয়ে বাম দিকে। বর্তমানে গোটা বছর মিহির বাবু বই লেখালেখি করেন। বইমেলার সিজনে তিনি নিজে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আয়োজিত বইমেলাগুলিতে ঘুরে ঘুরে স্টল দিয়ে বই বিক্রি করেন। বর্তমানে এটি তার নেশা।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তার বইয়ের কদর রয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরেই তিনি এই বইগুলি বিক্রি করছেন। বর্তমানে চাহিদা ব্যাপক হারে। তাঁর বই লেখার চিন্তাভাবনা আসার কারণ? মিহির বাবু একজন অঙ্কের শিক্ষক ছিলেন। সে সময় ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা উপলব্ধি করেছিলেন তিনি। অংকের বিষয়ে অনেকেরই নানান সমস্যা জটিলতা দেখা দিয়েছিল। তখন থেকেই সহজ সরল ভাষায় বই লেখার চিন্তাভাবনা। অবসর নেওয়ার পর থেকেই শুরু করেন এই বই লেখার কাজ। এখনও তিনি লিখেই চলেছেন এই বই।
স্কুলস্তর বা কলেজ স্তরের সিলেবাস পরিবর্তন হয়। সিলেবাস পরিবর্তন হলে তিনিও তার বইয়ের পরিবর্তন করেন ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার জন্য। অবসরের পরে ছাত্র-ছাত্রীদের এমন সহজ সরল বই উপহার দেওয়ার জন্যই এখন তিনি রাজ্য জুড়ে অঙ্কের দাদু নামে খ্যাত।
No comments:
Post a Comment