'ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী', মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুকেশ আম্বানি - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 10 January 2024

'ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী', মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুকেশ আম্বানি

 


'ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী', মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুকেশ আম্বানি




প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১০ জানুয়ারি: রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (আরআইএল) চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি বুধবার (১০ জানুয়ারি) ভাইব্রেন্ট গুজরাট গ্লোবাল সামিট 2024-এ ভাষণ দিয়েছেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।  মুকেশ আম্বানি বলেন, :প্রধানমন্ত্রী মোদী যখন কথা বলেন, তখন সারা বিশ্ব শোনে।' উল্লেখ্য, রাজ্যের রাজধানী গান্ধীনগরে ভাইব্রেন্ট গুজরাট গ্লোবাল সামিট আয়োজিত হচ্ছে, যেখানে ব্যবসায়ী নেতারা এসেছেন।


ভাইব্রেন্ট গুজরাট সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতায়, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান আম্বানি শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কৃতিত্ব দেন। মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই গুজরাট ভাইব্রেন্ট সামিটের আয়োজন করা হচ্ছে।  এই শীর্ষ সম্মেলন ২০০৩ সালে শুরু হয়েছিল। প্রথম শীর্ষ সম্মেলনে ৭০০ প্রতিনিধি অংশ নিলেও এখন এতে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখেরও বেশি।


মুকেশ আম্বানি বলেন, 'আমি ভারতের 'প্রবেশ দ্বার' শহর মুম্বাই থেকে আধুনিক ভারতের বিকাশের 'প্রবেশ দ্বার' গুজরাট পর্যন্ত এসেছি। আমি একজন গুজরাটি হিসেবে গর্বিত, বিদেশীরা যখন নিউ ইন্ডিয়ার কথা ভাবে, তারাও নিউ গুজরাটের কথা ভাবে। কীভাবে এই পরিবর্তন ঘটল?  এই পরিবর্তনের কারণ হল একজন নেতা যিনি আমাদের সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশ্বনেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।  এই নেতার নাম পিএম মোদী, যিনি ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী।'


ভাইব্রেন্ট গুজরাট গ্লোবাল সামিট সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আম্বানি বলেন, 'এই ধরনের আর কোনও শীর্ষ সম্মেলন ২০ বছর ধরে চলতে পারেনি।  কিন্তু প্রতি বছরই এই শীর্ষ সম্মেলন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এটা প্রধানমন্ত্রী মোদীর দূরদর্শিতা এবং ধারাবাহিকতার ফল।'  তিনি বলেন, 'ভাইব্রেন্ট গুজরাটের প্রতিটি শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়া কয়েকজন ভাগ্যবানের মধ্যে আমি ছিলাম।'


রিলায়েন্স চেয়ারম্যান বলেন যে, যখন আমার বিদেশের বন্ধুরা আমাকে জিজ্ঞেস করে 'মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়' স্লোগানটির অর্থ কী, যা কোটি কোটি ভারতীয় ব্যবহার করে। আম্বানি বলেন যে, আমি আমার বন্ধুদের বলেছি যে এই স্লোগানের অর্থ হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার দূরদর্শিতা এবং দৃঢ়তা দিয়ে অসম্ভবকেও সম্ভব করে তোলেন। এই কারণেই আমার বিদেশী বন্ধুরাও আমার সাথে একমত এবং বলেন– 'মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়'।


মুকেশ আম্বানি বলেন, 'গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলতেন ভারতের বিকাশের জন্য গুজরাটের বিকাশ জরুরি। এভাবে গুজরাটকে ভারতের বিকাশের ইঞ্জিন বানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।' তিনি বলেন, 'আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মোদী বিশ্বের বিকাশের জন্য ভারতের বিকাশের কথা বলেন।  প্রধানমন্ত্রী এই মন্ত্রে কাজ করছেন এবং ভারতকে বিশ্বের বিকাশের ইঞ্জিনে পরিণত করছেন।


রিলায়েন্স চেয়ারম্যান বলেছেন যে, 'প্রধানমন্ত্রী মোদী মাত্র দুই দশকে গুজরাট থেকে বিশ্ব মঞ্চে ভ্রমণ করেছেন।  ভারতের যুবদের দেশের অর্থনীতিতে প্রবেশের জন্য আজই সেরা সময়।' তিনি বলেন যে, আগামী প্রজন্ম প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী উন্নত ভারতের ভিত্তি স্থাপন করেছেন।  বিশ্বের কোনও শক্তিই ভারতকে ২০৪৭ সালের মধ্যে ৩৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়া থেকে আটকাতে পারবে না।'

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad