ঘর আর অফিসের মাঝে আটকে যাচ্ছেন? ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের ভারসাম্য রাখুন এইভাবে
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৭ জানুয়ারি: সবাই বলে যে অফিস এবং বাড়ির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। তবে, এটি বাস্তবে করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। দ্রুত পরিবর্তিত কর্মসংস্কৃতিতে, অফিস এখন আমাদের দ্বিতীয় বাড়িতে পরিণত হয়েছে, আর বাড়ি আমাদের কর্মক্ষেত্রে পরিণত হতে শুরু করেছে। বাড়িতে পৌঁছানোর পরেও, বেশিরভাগ লোক অফিস সম্পর্কিত বার্তা, মেইল এবং অ্যাসাইনমেন্টে আটকে থাকেন। আর বাড়িতে কোনও সমস্যা হলে তা অফিসে পৌঁছে যায়। যদি এটি ক্রমাগত ঘটে তবে এটি আপনার ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনকে সম্পূর্ণরূপে নষ্ট করে দিতে পারে।
আপনি যদি চান আপনার কাজ এবং বাড়ি দুটোই সুচারুভাবে চলুক, তাহলে ব্যক্তিগত জীবন এবং কাজের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করা জরুরি। এর জন্য আপনি আপনার অভ্যাসের মধ্যে কিছু জিনিস অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন
অফিসের কাজ বাড়িতে নিয়ে যাবেন না - অনেক লোকই ওয়ার্কহোলিক, যারা অফিসের কাজ বাড়িতে নিয়ে যায়। কিছু লোক ব্যক্তিগত কাজে অফিসের সময় নষ্ট করে, যার কারণে তারা কাজ বাড়িতে আনতে বাধ্য হয়। এটি আপনার মানসিক স্বাস্থ্য এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। অফিসের চাপ কখনও কখনও পরিবারের সদস্যদের সাথে বিবাদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ছোট ছোট ব্রেক নিন - ক্রমাগত কাজের সাথে ব্যস্ত থাকার ফলে আপনি মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন, তাই এটি গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি মাঝে মাঝে বিরতি নিতে থাকুন। পরিবারের সাথে কাটানো ছোট ছোট ছুটির দিনগুলি আপনাকে আবার কাজ করার জন্য নতুন শক্তি দিয়ে পূর্ণ করবে এবং আপনি পরিবারের সাথে সুস্থ সময় কাটাতে সক্ষম হবেন।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত দায়িত্ব নেবেন না – অফিসে বা বসের সামনে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য অতিরিক্ত দায়িত্ব নেওয়ার অভ্যাস অনেকেরই থাকে। কখনও কখনও এই অতিরিক্ত দায়িত্ব আপনার জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। সিনিয়ররা যদি আপনাকে ওভারলোড করতে চান তবে আপনি সম্মানের সাথে তাদের কাজটি সম্পূর্ণ করার পরেই তা করতে বলতে পারেন। অতিরিক্ত বোঝা আপনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ করে তুলতে পারে।
অগ্রাধিকার নির্ধারণ করুন - কর্মজীবন এবং পেশাগত জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতে, কাজের জন্য অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলিকে প্রথম অগ্রাধিকার দিয়ে করুন এবং যে কাজগুলি পরে করা যেতে পারে তা পিছিয়ে দিন। কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনে উভয় ক্ষেত্রেই এই পদ্ধতি প্রয়োগ করুন। এর মাধ্যমে আপনি উভয়ের মধ্যে সঠিক সমন্বয় তৈরি করতে পারবেন।
No comments:
Post a Comment