ভালো অভিভাবকত্বের জন্য ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মেনে চলুন, সন্তান হয়ে উঠবে ভালো মানুষ, মিলবে সাফল্য - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 11 February 2024

ভালো অভিভাবকত্বের জন্য ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মেনে চলুন, সন্তান হয়ে উঠবে ভালো মানুষ, মিলবে সাফল্য

 


ভালো অভিভাবকত্বের জন্য ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মেনে চলুন, সন্তান হয়ে উঠবে ভালো মানুষ, মিলবে সাফল্য



প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১১ ফেব্রুয়ারি: প্রত্যেক পিতা-মাতারই কামনা থাকে তাদের সন্তান যেন পৃথিবীতে একজন সফল মানুষ হয়। এর পাশাপাশি তাকে সমাজের জন্য আরও ভালো ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে তুলতে চান তারা। শিশুকাল থেকেই ভবিষ্যতে শিশুর জন্য একটি উন্নত জীবনের ভিত্তি স্থাপন করা গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক বয়সে শিশুদের দেওয়া সঠিক শিক্ষা তাদের সারাজীবন সাহায্য করে। পিতামাতার দায়িত্ব হয়ে ওঠে তাদের সন্তানদের মধ্যে সঠিক অভ্যাস গড়ে তোলা, যাতে তারা জীবনের প্রতিটি লক্ষ্য সফলভাবে অর্জন করতে পারে।


 ৫টি প্যারেন্টিং টিপস অনুসরণ করুন

সেল্ফ স্টিম- প্রতিটি শিশু প্রাথমিকভাবে তার পিতামাতার চোখ দিয়ে পৃথিবী দেখে। পৃথিবী কেমন তা জানানো বাবা-মায়ের দায়িত্ব। পিতামাতার কর্তব্য তাদের সন্তানদের মধ্যে আত্মসম্মানবোধ জাগ্রত করা। তাদের সঠিক ও ভুলের পার্থক্য বুঝিয়ে দিন।


 শৃঙ্খলা - শিশুদের প্রতি ভালোবাসা দেখানো যতটা গুরুত্বপূর্ণ, তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিকালে শিশুকে শৃঙ্খলা শেখানো খুবই জরুরি। এই বয়সই শিশুর ভবিষ্যত গঠন করতে পারে। এই বয়সে শেখা শৃঙ্খলার পাঠ শিশুর সারাজীবন কাজে লাগবে।


রোল মডেল - শিশুরা তাদের পিতামাতার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখে, তারা যদি আপনার কাছ থেকে ভালো শিখে তবে তারা আপনার কাছ থেকে খারাপও শিখবে। এমন পরিস্থিতিতে, তাদের রোল মডেল হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের দের সামনে বাবা-মায়ের আচরণ তাদের ভবিষ্যতে একই কাজ করতে শেখাবে। অন্যদের প্রতি আপনার আচরণ, সঠিক এবং ভুল বিষয়ে আপনার মতামত শিশুর বোঝার বিকাশে সহায়তা করে।


 সামাজিক মিথঃস্ক্রিয়া - শিশুকে একজন সফল ব্যক্তি এবং আরও ভালো মানুষ হওয়ার জন্য, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি তাকে সামাজিক মিথঃস্ক্রিয়া শেখান। তাকে বলুন যে আমাদের চারপাশের মানুষের সাথে যোগাযোগ করা আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি মানুষের গুরুত্ব শেখান এবং শিশুকে ছোট বা বড় হওয়ার অনুভূতি তৈরি করা থেকে বিরত রাখুন। এটি শিশুর মধ্যে ভবিষ্যতে সম্পর্ক বোঝার এবং সংরক্ষণ করার অভ্যাস গড়ে তুলবে।


সময় দিন- কখনও কখনও আপনি শিশুকে কিছু শেখালে সে তা শিখে যায় আবার কখনও কখনও আপনি অজান্তেই তাকে অনেক শিক্ষা দেন। সেজন্য আপনার সন্তানের জন্য পর্যাপ্ত সময় বের করা জরুরি। আপনার সময় সন্তানের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। তার সাথে মানসিক বন্ধন আরও মজবুত করুন, যাতে সে তার সমস্যা বা মানসিক বিভ্রান্তি আপনার সাথে শেয়ার করতে পারে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad