পশুদের রোগ শনাক্ত করবেন যেভাবে! জেনে নিন প্রতিরোধের উপায়
রিয়া ঘোষ, ০৮ ফেব্রুয়ারি : বর্তমানে বেশিরভাগ কৃষকই তাদের আয় বাড়াতে কৃষিকাজের পাশাপাশি পশুপালন করছেন। কিন্তু যদি দেখা যায়, এই পরিবর্তনশীল মরসুমে পশুদের মধ্যে রোগের ঝুঁকি বেশি। একজন গবাদি পশু খামারিদের সুস্থ পশু থাকলে তা থেকে তিনি বেশি লাভ পেতে পারেন। পশু খামারিদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পশুদের মধ্যে অনেক ধরনের রোগ দেখা দেয় এবং পশু খামারিরা সেসব রোগ সঠিকভাবে বুঝতে পারে না এবং যতক্ষণ না পশুরা সেসব রোগ বুঝতে সক্ষম হয়, ততক্ষণে অনেক সময় লেগে যায়।
এই ধারাবাহিকতায়, আজ জানুন খামারিদের জন্য পশুদের মধ্যে সংঘটিত রোগ শনাক্ত করার তথ্য।
কিভাবে পশুদের রোগ সনাক্ত করতে?
আপনি যদি প্রাণীদের রোগ শনাক্ত করতে না পারেন তাহলে আতঙ্কিত হবেন না, আজ জানুন তাদের রোগ সনাক্ত করার কিছু সহজ উপায় সম্পর্কে।
প্রথমত, প্রাণীদের চলাফেরা অর্থাৎ তাদের গতির দিকে মনোযোগ দিন। যদি আপনার পশু স্বাভাবিকের চেয়ে ভিন্ন গতিতে চলতে থাকে তবে আপনার পশু অসুস্থ।
যদি পশুটি ঠিকমতো পশুখাদ্য না খায় এবং চুদতে না চায়, তাহলে আপনার পশুটি অসুস্থ।
একটি পশু দ্বারা উৎপাদিত দুধের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণ হল পশুটি অসুস্থ।
যদি পশু সারাদিন অলস থাকে এবং ত্বকে শুষ্কতা দেখা যায় তবে এটি পশু অসুস্থ হওয়ার লক্ষণ।
পশুর শরীরের তাপমাত্রা বেশি ও কম থাকলে এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হলে বুঝবেন পশুটি অসুস্থ।
পশুর নাক, কান ও চোখ থেকে জল পড়াও পশুর অসুস্থ হওয়ার লক্ষণ।
প্রায়শই দেখা যায় যে কিছু প্রাণী খোঁপা করে হাঁটে, তাই এটিও প্রাণীর একটি রোগের লক্ষণ।
এ ছাড়া হঠাৎ করে পশুর ওজন কমে যাওয়া এবং শুকনো থুতু ফেলাও পশুর অসুস্থতার লক্ষণ।
রোগ থেকে প্রাণীদের রক্ষা করার উপায়
রোগ ধরা পড়লে পশুকে অন্যান্য সুস্থ প্রাণী থেকে দূরে রাখতে হবে।
মা-বাবাকে দুধ খাওয়ানোর পর সাবান দিয়ে হাত ও মুখ ধুতে হবে।
আক্রান্ত স্থান সোডিয়াম কার্বনেট দ্রবণ দিয়ে জলে মিশিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
চিকিৎসকের পরামর্শের পর পশুকে অবিলম্বে টিকা দিতে হবে এবং নিয়মিত চিকিৎসা দিতে হবে।
আক্রান্ত পশু রাখার স্থানে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিন।
No comments:
Post a Comment