বাংলায় ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে দ্বন্দ্ব! প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখলেন মমতা
নিজস্ব প্রতিবেদন, ০২ ফেব্রুয়ারি, কলকাতা : ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে তোলপাড় চলছে পশ্চিমবঙ্গে। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলার বকেয়া ঋণ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ক্যাগ রিপোর্ট পড়তে বলেছিলেন। আর তখনই ক্যাগ রিপোর্টের প্রসঙ্গ তুললেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তের দাবী, রাজ্য প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসাব দেয়নি। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। এই বিতর্কের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে 'কড়া' চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে বিতর্কের প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা বলা হচ্ছে যে অনিয়ম হয়েছে। কোনও অনিয়ম হয়নি। প্রধানমন্ত্রীকে কড়া চিঠি লিখেছি। আমি এখানে বসেই স্বাক্ষর করেছি। ক্যাগ যা জানে না, তা লেখা হয়েছে। ২০০৩ সাল থেকে বলছি। আরে, আমরা ২০০৩ সালে কিছু ছিলাম! ২০১১ সালের পর আমরা যখন আসব তখন আমরা দায়িত্ব নেব। তবে, ধরা যাক যে প্রতিটি ইউটিলিটি শংসাপত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। নিছক মিথ্যা। সত্যকে কখনও চাপা দেওয়া যায় না।"
২০০৩ সালে রাজ্যে কী অনিয়ম হয়েছিল তার হিসাব দাবী করছে তাঁর সরকার। শুক্রবার রেড রোড প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে ক্যাগ রিপোর্টের সমালোচনা করেন মমতা। শুক্রবার এই রিপোর্টের নিন্দা করেন মমতা। তিনি বলেন যে সেই রিপোর্টে কেন্দ্র রাজ্যের কাছে তৃণমূলের 'শিশু' হওয়ার সময়কালের হিসাব চেয়েছে।
তিনি বলেন, "আমরা সব হিসাব দিয়েছি। একজন তৃণমূল চোর? তাহলে আপনি কি? কেন্দ্র সব বিভাগে ৩০ শতাংশ কমিশন নেয়। প্রধানমন্ত্রীকে কড়া চিঠি লিখেছি।" কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতি এবং বকেয়া আদায়ের বিরুদ্ধে শুক্রবার থেকে রেড রোডে ৪৮ ঘন্টা ধরে ধর্নায় বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ চলবে। তার পর অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করবেন তৃণমূলের অন্যরা। এর আগেও ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই সপ্তাহে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে গিয়ে রিপোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি বলেন, “ক্যাগ রিপোর্ট লোকসভায় নিরীক্ষিত হয়। বিধানসভা কমিটি ক্যাগ রিপোর্ট বিবেচনা করেছে। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি) প্রতিটি রিপোর্ট দেখে। যারা PAC-এর সদস্য তাদের জিজ্ঞেস করুন, গরিবের টাকা দিয়ে কত লাখ কোটি টাকার সম্পদ তৈরি হয়েছে। আগে এর উত্তর দিন।"
No comments:
Post a Comment