ব্যাস জির বেসমেন্টে পুজোয় ক্ষুব্ধ মসজিদ কমিটি, বেনারস বনধের ঘোষণা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 2 February 2024

ব্যাস জির বেসমেন্টে পুজোয় ক্ষুব্ধ মসজিদ কমিটি, বেনারস বনধের ঘোষণা



ব্যাস জির বেসমেন্টে পুজোয় ক্ষুব্ধ মসজিদ কমিটি, বেনারস বনধের ঘোষণা


প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০২ ফেব্রুয়ারি : জ্ঞানবাপী মসজিদে অবস্থিত ব্যাসজির বেসমেন্টে বারাণসী জেলা জজ আদালতের নির্দেশে ভোরে শুরু হওয়া পুজোয় ক্ষুব্ধ মুসলিম সম্প্রদায়।  ক্ষুব্ধ মুসলিম সম্প্রদায় আজ শুক্রবার বনধের ডাক দিয়েছে।  শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়া হয়।  এই দিন বারাণসীতে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদের দোকান ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখবে।


 বুধবার বারাণসী জেলা আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদের দক্ষিণ অংশে অবস্থিত ব্যাসজির বেসমেন্টে পূজার নির্দেশ দিয়েছিল।  ৭ দিনের মধ্যে বেসমেন্টে পুজো শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। নির্দেশের পর বুধবার রাত আনুমানিক ২টা নাগাদ ব্যাসজির বেসমেন্টে পূজা শুরু হয়।  বেসমেন্টের সামনের ব্যারিকেডিংও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।  এতে ক্ষুব্ধ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ।



 তথ্য প্রদান করে জ্ঞানবাপী মসজিদের ইমাম ও আঞ্জুমানে ইন্তেজামিয়া মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতিন নোমানি জানান, শুক্রবার অর্থাৎ জুম্মায় তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।  তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের জনগণকে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রেখে শহরে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান।  তিনি জানান, জুমার নামাজ থেকে আসরের নামাজ পর্যন্ত মসজিদগুলোতেও নামাজ আদায় করা হবে।



 জ্ঞানবাপী মসজিদের ইমাম আব্দুল বাতিন নোমানি ১৯৯৩ সালের আগে ব্যাস বেসমেন্টে পূজা অনুষ্ঠিত হওয়ার দাবিকে ভুল বলে অভিহিত করেছেন।  তিনি বলেন যে ১৯৯৩ সালের আগে দক্ষিণ বেসমেন্টে কোনও পূজা করা হয়নি।  এসব কথা হিন্দু পক্ষ ও সংবাদ মাধ্যম প্রচার করেছে।  বারাণসী জেলা জজ আদালত গত বুধবার জ্ঞানবাপী মসজিদের ব্যাস জি বেসমেন্টে পূজার বিষয়ে একটি বড় নির্দেশ দেয়।  বিচারক ব্যাস বেসমেন্টে পূজার অনুমতি দেন যা ৩১ বছর ধরে বন্ধ ছিল।  আদালত থেকে অনুমতি পাওয়ার পরে, বারাণসী কমিশনার, ডিএম এবং পুলিশ কমিশনার রাত সাড়ে ১০ নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছেন।  যেহেতু আদালত ডিএমকে বেসমেন্টের রিসিভার হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন, তাই ডিএমের উপস্থিতিতে বেসমেন্টের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছিল।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad