হলদওয়ানির মাদ্রাসা ভাঙতে যাওয়া পুলিশ দলকে লক্ষ্য করে ঢিল! দুষ্কৃতীদের দেখলেই গুলি করার নির্দেশ
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৮ ফেব্রুয়ারি : হলদওয়ানির বনভুলপুরায় মাদ্রাসা ভাঙতে যাওয়া প্রশাসন ও পুলিশের দলকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়েছে দুষ্কৃতীরা। বিষয়টি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে থানার বাইরে পার্ক করা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। বিক্ষোভকারীরা এখানেই থেমে থাকেনি, তারা চারদিক থেকে পুলিশ দলকে ঘেরাও করে, পাথর নিক্ষেপ করে এবং অন্যান্য যানবাহনে আগুনও দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ হিমশিম খায়। সহিংসতা ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে হয়, খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছে। মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকে সহিংসতাকারীদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
হলদোয়ানির বনভুলপুরা থানার অন্তর্গত মালিকের বাগানে বেআইনি মাদ্রাসা ও নামাজের জায়গা ভাঙতে আজ পৌর কর্পোরেশনের দল পৌঁছেছিল। জেসিবি মেশিন দিয়ে তা ভেঙে ফেলা হয়। মিউনিসিপ্যাল কমিশনার পঙ্কজ উপাধ্যায়, সিটি ম্যাজিস্ট্রেট রিচা সিং, এসডিএম পরিতোষ ভার্মা সহ বিপুল সংখ্যক পৌর কর্পোরেশন দল উপস্থিত ছিলেন। এদিকে মালিকের বাগানের আশেপাশে বসবাসকারী সব উচ্ছৃঙ্খল উপাদান পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছে। এতে অনেক পুলিশ ও সাংবাদিক আহত হয়েছেন। দুষ্কৃতীরা হঠাৎ করেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে শুরু করে, যাদের সাথে বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশুও জড়িত ছিল। যতক্ষণে কেউ কিছু বুঝতে পারে তখন অনেক পুলিশ কর্মী আহত হয়েছিলেন। দুষ্কৃতীরা এখানে পার্ক করা গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয়।
হলদওয়ানি মামলায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্য সচিব ও পুলিশের মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। জনগণকে এখানে শান্তি বজায় রাখার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। নৈরাজ্যকারীদের কঠোরভাবে মোকাবেলা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বনভুলপুরা এলাকায় কারফিউ ঘোষণা করেছেন ডিএম। দুষ্কৃতীদের দেখলেই গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক থানা থেকে বাহিনীকে ডাকা হয়েছে এবং আধাসামরিক বাহিনীকেও ডাকা হয়েছে। নৈরাজ্যবাদীদের চিহ্নিত করে UAPA-এর অধীনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে হয়। পুলিশ কোনওমতে দুষ্কৃতীদের তাড়িয়ে দেয়। এসএসপি নৈনিতাল প্রহ্লাদ মীনা, বনভুলপুরার এসও নীরজ ভাকুনি, এসও মুখনি, এসও প্রমোদ পাঠক সহ একাধিক থানার বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এলাকায় ভারী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মিউনিসিপ্যাল কমিশনার পঙ্কজ উপাধ্যায় জানান, মাদ্রাসার নির্মাণ সম্পূর্ণ বেআইনি। পৌর কর্পোরেশন ইতিমধ্যে এর কাছাকাছি অবস্থিত তিন একর জমির দখল নিয়েছে। এরপরই মাদ্রাসাটি সিলগালা করা হয়, যা আজ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানায়, যারা নাশকতা সৃষ্টি করেছে তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। শিগগিরই তাকে গ্রেফতার করা হবে।
No comments:
Post a Comment